কক্সবাজারে আসামি গ্রেফতারের ক্ষোভে হামলা, প্রতিবেশীর বসতবাড়ি ভাঙচুর

fec-image

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে সফর আলম (৪৭) নামক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে খুরুশকুল ৪নং ওয়ার্ডের কাউয়ারপাড়া কুতুবজুরি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

সফর আলমের বিরুদ্ধে জিআর মামলা নং-৩৫৫/১৬ ও জিআর-৪১৩/১৯সহ আরো কয়েকটি মামলা আছে বলে জানা গেছে।

নন জিআর মামলা নং-৪১৩ মূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্বদাতা সদর মডেল থানা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ উদ্দিন।

এদিকে, সফর আলমকে গ্রেফতারের জেরে রহমত উল্লাহ নামক স্থানীয় এক ব্যক্তির বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন উপপরিদর্শক (এসআই) এসআই আতিকুল ইসলাম ভুইয়ার নেতৃত্বে সদর থানার একদল পুলিশ।

আসামি গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দুইটি পক্ষ উত্তেজিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন এসআই আতিকুল ইসলাম ভুইয়া।

তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উভয়পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।

তিনি জানান, আদালতের পরোয়ানামূলে একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে কি হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত নন। টহল টিম থানায় পৌঁছলে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, মোস্তাক মাস্টার হত্যাসহ ডজনাধিক মামলার আসামি মনিরুল হকের নেতৃত্বে বসতবাড়ি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় নুরুল আলম, জামাই কালু, ছৈয়দ আলম, রমজান, নুরুল আলমসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক ঘটনায় জড়িত। গ্রেফতারকৃত আসামি সফর আলম অভিযুক্ত মনিরুল হকের মামা।

আসামি গ্রেফতারে পুলিশকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে রহমত উল্লাহর বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেন, আসামি গ্রেফতারের পরে বসতবাড়ির ঘেরাবেড়াসহ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সংঘবদ্ধ হামলায় ছোট ভাই শহিদুল্লাহর স্ত্রীর এলমন নাহার আহত হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ শনিবার রাত সাড়ে ১১টার তথ্য অনুযায়ী, ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলা ও ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার, হামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন