কক্সবাজারে নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

fec-image

কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদীর বুক দখল করে প্রকাশ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব চলছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজার ডিসি সড়কের ছাগল বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশের  নজরুল মার্কেটের পেছনে নদীর বুক দখল করে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। অভিযোগ উঠা নজরুল ইসলাম  ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, নদীর জল প্রবাহের স্বাভাবিক গতিপথ অবৈধ দখলে নিয়ে তার উপর পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে উক্ত নজরুল ইসলাম। নির্মিতব্য এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে পানির গতিপথে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে  বাজারের শত দোকানপাট ও ঘরবাড়ি মুহূর্তেই পানিতে তলিয়ে যাবে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে উক্ত নদী নিয়ে নামা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বেশ ক’বার বাজার এলাকা ও দোকান পাট তলিয়ে যায়। যার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক ধাপে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

অভিযুক্ত  নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ষার ঢলের পানি থেকে মার্কেট রক্ষায় তার জায়গার মধ্যেই গাইডওয়াল নির্মাণ করছেন।

নদী পাড়ের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে এ নদীর উভয় পাড় প্রভাবশালীরা অবৈধ দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখায় নদীর প্রশস্ততা ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ঐতিহ্যবাহী এ নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

এদিকে নদীর বুক দখলের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার। তিনি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট করবেন এবং তা বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

ঈদগাঁও চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হাকিম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বিষয়টি দেখেছেন। এবিষয়ে তিনি এসিল্যান্ডকে অবগত করবেন জানান।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  ঈদগাঁও উপজেলা শারমিন সোলতানার মুঠোফোনে কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায়  জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানকে এ বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

উপজেলার সচেতন জনগণ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও নদী রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, নদী দখল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন