কক্সবাজারে ভোটার হতে গিয়ে রোহিঙ্গা যুবক আটক

আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজার পৌরসভায় চলমান হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত হতে গিয়ে আটক হয়েছে রোহিঙ্গা যুবক শামশুল আলম। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কক্সবাজার সার্ভার স্টেশন থেকে হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই-বাছাই উপজেলা বিশেষ কমিটির সদস্যরা তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। সে কক্সবাজার পৌরসভার একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য তথ্য সংগ্রহের শেষ দিন ১৫ আগস্ট। সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছে উপজেলা বিশেষ কমিটি।

নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনার খাজা মঞ্জিল এলাকায় বসবাসকারী কবির আহমদের ছেলে এবং কক্সবাজার পৌরসভায় ৮ বছর ধরে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মী রোহিঙ্গা যুবক শামশুল আলম (২৫) ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে। তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে সন্দেহজনক মনে হলে বিশেষ কমিটির সদস্যরা তাকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান।

পরে ওইসব তথ্য যাচাই-বাছাইকালে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপজেলা বিশেষ কমিটি তাকে তলব করে। শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সার্ভার স্টেশনে উপস্থিত হলে পিতা-মাতার নামে ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে। বিষয়টি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হালনাগাদ ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই-বাছাই উপজেলা বিশেষ কমিটির নজরে এলে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি কাজী মতিউল ইসলাম জানান, আটক শামশুল আলম রোহিঙ্গা হলেও গত ৮ বছর ধরে কক্সবাজার পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও কথা জানান ওসি মতিউল।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, কক্সবাজার পৌরসভায় ১৫০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী কর্মরত আছেন। সবার নাম ও ঠিকানা মনে রাখা সম্ভব নয় বলে আটক যুবক পরিচ্ছন্ন কর্মী কিনা সেবিষয়ে আমার জানা নেই।

মেয়র সরওয়ার আরও জানান, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে হলে জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে সব তথ্য-উপাত্তের জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক সত্যায়িত হতে হয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক সত্যায়িত করা হয়েছে কিনা যাচাই করে দেখে মেয়র চুড়ান্তভাবে সত্যায়ন করে থাকেন। তাই সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলার কর্তৃক সত্যায়িত তথ্য-উপাত্ত ভূয়া প্রমাণিত হলে তার দায়ভার মেয়রের নয় বলে দাবি করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন