কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লীতে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি হচ্ছে
খুন, ধর্ষণ, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংসহ সব ধরণের অপরাধকর্ম নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
বৃহত্তর সাহিত্যিকা পল্লী এলাকা কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শহরের মাঝখানে। তবে পাহাড়ি এলাকা ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে থানা থেকে এখানে পুলিশ এসে অপরাধীদের ধরার আগেই তারা অনেক সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যা আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়। তাই এ এলাকার সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে এখানে পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে শহরের সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা বাহিনী’৭১ এর প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আদিবুল ইসলাম, সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির, একই থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ খায়রুজ্জামান।
প্রধান অতিথি এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা ৪/৫ টি কক্ষের ব্যবস্থা করে দিন। আমরা অফিসিয়ালি মাসিক ভাড়া দেবো। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি বসানো হবে।
তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এলাকায় কেউ সন্ত্রাস-ইভটিজিং তথা কোন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হলে তাদের এমন শিক্ষা দেয়া হবে, যাতে তারা দ্বিতীয়বার অপরাধ করার দুঃসাহস না পায়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এই এলাকায় যারা সন্ত্রাসী আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা যতই শক্তিশালী হউক না কেন, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে কক্সবাজার পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।