পাহাড়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তারা ভুল স্বীকার করলে সরকার তাদের পুনর্বাসন করবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

fec-image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, সারাদেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান পার্বত্য চট্টগ্রামেও চলবে। দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে যখন যে ধরনের পদক্ষেপ প্রয়োজন সে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় ৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত রামগড় মডেল থানা ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গাইড লাইন তৈরির কাজ চলছে। যার ধারাবাহিকতায় পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ চলছে।

পার্বত্য এলাকার জন প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশেই যেন শান্তির সুবাতাস অব্যাহত থাকে তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, পাহাড়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন তারা যদি ভুল স্বীকার করে সরকারের কাছে আবেদন করেন তাহলে সরকার তাদের পূর্নবাসনে সবকিছু করবে। তিনি সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতেও বলেন। সরকার ইতিমধ্যে ৬৩০জন চরমপন্থী সন্ত্রাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদেরকেও পূর্নবাসন করেছে।

পাহাড়ের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত করতে পারে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবকিছু করা হবে।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী এক সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরণার্থী বিষয়ক টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরণার্থী বিষয়ক টাক্সফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তি চাকমা, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মো: আহমার উজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৮ ডিসেম্বর বিগত সরকারের মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আসাদুজ্জামান খান রামগড় থানা কাম ব্যারাক ভবনের ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের গত জুনে নির্মাণ কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন