করোনার সহায়তার নামে এডিসি পরিচয়ে বগুড়া থেকে টেকনাফে চাঁদা দাবি 

fec-image

পুলিশকে ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে করোনা সহায়তার নামে চাঁদা দাবি করেছে একটি প্রতারকচক্র। গতকাল রাতে এডিসি পরিচয়ে প্রতারক চক্রটি টেকনাফ মডেল থানার ডিউটি অফিসারকে ফোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে।

এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা পুলিশের উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, টেকনাফ থানার এসআই অরুন কুমার চাকমা গতকাল থানায় ডিউটি অফিসার হিসাবে কাজ করছিলেন, এমন সময় তার কাছে একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয়। নিজেকে এডিসি পরিচয় দিয়ে অরুন চাকমাকে থানার অদুরে থাকা বেসরকারি মেরিন সিটি হাসপাতালে পাঠায়। মালিকপক্ষকে কথিত এডিসির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

বিশেষ কৌশলে প্রতারকরা চারটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে করোনা পরিস্থিতিতে এক লাখ টাকা করে চাঁদা দিতে বলে। তবে হাসপাতাল মালিকদের সাথে মোবাইলে আলাপকালে প্রতারক ব্যক্তি নিজেকে এবার ডিসি হিসাবে পরিচয় দেয়। হাসপাতালের মালিকরা বিষয়টি -টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে অবগত করেন। তখন তদন্ত শুরু করলে প্রতারণার বিষয় স্পষ্ট হয়।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন-‘মোবাইল চক্রের ব্যবহৃত নম্বর নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। চক্রটির অবস্থান বগুড়ায়। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।’ কয়েক মাস আগে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের নাম দিয়ে মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায়ের চেষ্টা হয়েছিল। সেসময় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে তিন প্রতারককে আটক করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন