কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৭ ছাত্রের সঙ্গে সমকামিতার অভিযোগ

fec-image

রাজধানীর ধামরাইয়ের কালামপুরে ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের প্রায় ২৭ ছাত্রের সঙ্গে এক শিক্ষকের সমকামিতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে।

এতে কলেজ চত্বরসহ পুরো ধামরাইজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তভোগী ছাত্রদের মধ্যে ১১ জন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলেজের সভাপতি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, ধামরাইয়ের ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক মো. আমিনুল ইসলাম কলেজের ছাত্রদের ফেল করানো, পরীক্ষা দিতে না দেয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার সাথে সমকামিতা করতে বাধ্য করতেন। তার এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কোন ছাত্র রাজি না হলেই তাকে ভয় দেখাতেন তিনি। এ ঘটনায় ভূগোল বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী অতিষ্ঠ হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর কাছে অভিযোগ দেন। গত দুদিন ধরে এমন ঘটনা ফাঁস হওয়ায় কলেজ পাড়াসহ পুরো ধামরাই জুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আর শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে কলেজে আসতে বারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন।

কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা জানান, আমরা ভূগোল বিভাগের ছাত্র। আমিনুল ইসলাম স্যার কৌশলে তার পছন্দের ছাত্রদের সমকামিতা করার প্রস্তাব দিতেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হলেই বিপদ ছিল। তাই বাধ্য হয়েই স্যারের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছি। তারা ওই স্যারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অভিযোগকারী কয়েকজন ছাত্র জানান, আমরা বাধ্য হয়েই এমন চরিত্রহীন স্যারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছি।ঘটনা তদন্ত হলে প্রায় অর্ধশতাধিক সাবেক বর্তমান ছাত্রের জন্য সমকামিতার ঘটনার প্রমাণ পাবে তদন্ত কমিটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, কলেজের এমন ঘটনা ফাঁসের পর নিজের স্ত্রীর সন্তানের কাছেও লজ্জা পাচ্ছি আমরা। এখন সকলেই বিষয়টিকে ঘৃণার চোখে দেখছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কলেজ অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন জানান, বিষয়টি কলেজের সভাপতির নির্দেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন।

কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রদের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও হয়েছে। রিপোর্টও হাতে পেয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন