কাউখালী-কাশখালী সড়কের ৬ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী
স্যাত স্যাতে রাস্তা, সড়ক জুড়ে বিশাল বিশাল গর্ত, বাঁশ, গাছ, বালি আর ইট বোঝাই গাড়ীগুলোর ঝাঁকনিতে কেঁপে উঠছে আশপাশের বাড়ী ঘর। গর্তের ভেতর জমে থাকা লালচে পানিগুলো প্রতিনিয়ত মানুষের গায়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে দ্রুগতির গাড়ী। প্রতিদিনের এমন রুটিন দৃশ্য যেন এখন রাঙামাটির কাউখালীর কাশখালী সড়কের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে কাশখালী হয়ে দুর্গম বটতলী পর্যন্ত এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৬.১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। প্রথম অবস্থায় কাশখালী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও পরবর্তীতে দুর্গম পাহাড়ের বটতলী পর্যন্ত আরো ৪ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয় বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে উপজেলার ব্যস্ততম এ সড়কটি শেষবারের মত সংস্কারের মুখ দেখেছে ২০১২ সালে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আর কোন সংস্কার হয়নি।
এমনকি ২০১৭ পাহাড় ধ্বসের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ঝুঁকিপুর্ণ রাস্তা ও কালভার্ট এখন পর্যন্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেননি সংশ্লিষ্টরা। প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে দৈনিক শত শত যানবাহন পাহাড়ের উঁচু নীচু সড়কে খানাখন্দের উপর দিয়ে চলাচল করছে। ফলে প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে করে চরম দূর্ভোগের মুখে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদেরও। অপরদিকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে আনা নেয়ার ক্ষেত্রেও হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা কাশখালী থেকে দূর্গম বটতলী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের। উঁচু নীচু পাহাড়ের ভেতর দিয়ে যাওয়া রাস্তার পুরোটাই অত্যান্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে কোন কোন স্থানে রাস্তা ধ্বসে পড়ায় গাড়ী তো দুরের কথা মানুষ চলাচলও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
উপজেলা সদরের সাথে যুক্ত এ সড়কটির দীর্ঘ সময় এমন করুন দশা হলেও জানেন না এলজিইডি’র কোন কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা হয় এলজিইডি কাউখালীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার রায়ের সাথে।
তিনি জানান, এ সড়কের চার কিলোমিটার পাকা সড়কের খুবই বাজে অবস্থার কথা শুনেছি। সে অনুযায়ী মেরামতের ব্যাবস্থাও নেয়া হয়েছে। তবে সদর থেকে দুই কিলোমিটার রাস্তার কথা আমার মোটেও জানা ছিলোনা। তিনি জানান, এ বিষয়ে আপনারা একটু লেখালেখি করলে হয়তো খুব দ্রুত ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। পুরো দমে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই এ সড়ক ও কালভার্টগুলো মেরামত করা না গেলে টানা বৃষ্টি হলে অবশিষ্ট সড়কও ধ্বসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।