কাপ্তাইয়ে একটি গাছের জন্য সড়ক ও সেতুটি অসম্পূর্ণ

Brige

কাপ্তাই প্রতিনিধি :

একটি গাছের জন্য সড়ক ও সেতুটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাজার হাজার লোকের চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। ঠিকাদার কাজ শেষে ব্যবস্থা নিবে বলে জনগনকে ধোঁকা দিয়ে কাজের টাকা উত্তোলন করে চলে গেছে।

কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় হতে স্ব-মিল এলাকায় ২৬লাখ টাকা ব্যয়ে দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ২০১৩-১৪ইং অর্থ বছরের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৭/৮মাস পূর্বে সেতুটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়। সেতুটি নির্মাণ করার সময় এলাকাবাসী ঠিকারদার আবুল কালামকে কাজ শেষে সেতুটির ওপার গাছটি সরানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

ঠিকাদার আবুল কালাম সেতুটির কাজ শেষে গাছ সড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সবাইকে জানিয়ে দীর্ঘ ৭/৮মাসের মধ্যে আর কোন ব্যবস্থা নেননি এবং সেতুটির দু’পাশে অর্থ্যাৎ এক্সোপোজের দু’পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও তা না করে এবং সড়ক/সেতুর ওপার গাছটিরও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বহু আগে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে নেয়। এ সেতুটির ওপার দিয়ে গাছের জন্য দু’জন লোক এক সাথে চলাচল করতে পাড়ে না। মাথায় করে কোন ঝুড়ি বা খাদ্যদ্রব্য নেওয়ার সময় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন কি স্বাভাবিকভাবে একটি মটর সাইকেলও চলাচল করতে কষ্ট হয়। প্রতিদিন এ সড়ক বা সেতুটির ওপার দিয়ে পাশে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়, শিশু নিকেতন, স্ব মিল ও নতুন বাজারের হাজার হাজার লোক চলাচল করছে।

ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌঃ আবদুল লতিফ বলেন, ঠিকাদারকে বলা হয়েছে কাজ শেষে বন বিভাগের প্রশাসনের সাথে কথা বলে এ গাছটি কর্তন ব্যবস্থা নিবে। অধ্যবদি না নেওয়ায় এবং জনগনগের দুর্ভোগ হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, সড়ক ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে এলাকার জনগনের সুবিধার জন্য এতে যদি জনগন সুবিধা না পায় তাহলে আমাদের থেকে লাভ কি? ঠিকাদারকে অনেক বার বলা হলেও কোন কর্ণপাত না করায়  তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

এলাকার ব্যবসায়ী সেকান্দার হোসেন ,ফারুক খান বলেন, যে ঠিকাদার গাছ কর্তন এর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে বলা হলেও তা না করে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। ঠিকাদার টাকা নিয়ে চলে গেছে কিন্তু প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছি আমরা।

ঠিকাদার আবুল কালাম বলেন, গাছটি সরকারি। এ ধরনের গাছ কেটে আমাকে অনেক মামলা বা জবাবদিহিতা দিতে হয়েছে অনেকবার। তবে এর কোন ব্যবস্থা নিবে কিনা সে বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন