‘কাপ্তাই এলপিসি ইউনিটকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে’

fec-image

জীববৈচিত্র্যকে বজায় রেখে ভূমির যথাযথ ব্যবহার করে কাপ্তাই এলপিসি ইউনিটকে আরোও লাভজনক প্রতিষ্ঠান করা হবে। সে বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন।

সোমবার (৮ মে)সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি) চেয়ারম্যান সরকারের (অতিরিক্ত সচিব) মো. শহিদুল ইসলাম রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বিএফআইডিসির অধীন পরিচালিত কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স (এলপিসি) ও করাতকল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন পরিত্যক্ত জমি পড়ে থাকবে না। তাই সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ এলাকায় শিল্প কারখানা গড়ার পাশাপাশি ইকো- ট্যুরিজমের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। যাতে এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। আর এখানে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসময় বিএফআইডিসির পরিচালক (উৎপাদন ও বাণিজ্য) যুগ্ম সচিব নেছার আহমদ ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), যুগ্ম সচিব এনায়েত উল্ল্যাহ খান ইউছুফজী, কাপ্তাই এলপিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক তীর্থ জিৎ রায়, এএসএম শাহাজাহান সরকার মহাব্যবস্থাপক রাবার বিভাগ চট্রগ্রাম, তপন কর্মকার উপ-মহাব্যবস্থাপক কাষ্ঠ সংরক্ষণ ইউনিট কালুরঘাট চট্রগ্রাম, মো. আরিফ হোসেন উপ-মহাব্যবস্থাপক ফিডকো কালুরঘাট চট্রগ্রাম, আতিকুর রহমান সহ-মহাব্যবস্থাপক এসএমপি কালুরঘাট চট্রগ্রাম, উজ্জল কুমার হাওলাদার সহ-মহাব্যবস্থাপক কালুরঘাট, মো. শফিুল ইসলাম সহ-ব্যবস্থাপনা কাপ্তাই (মাঠ), বিলাস কুমার বিশ্বাসসহ কাপ্তাই এলপিসি শাখার কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কাপ্তাই এলপিসির সহ মহাব্যবস্থাপক তীর্থ জিৎ রায় বলেন, এলপিসি কাপ্তাই ইউনিটকে লাভজনক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান কাপ্তাই এলপিসি ইউনিট পরিদর্শন করেন। এলপিসি ইউনিটের জমিগুলো সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিভাবে আরো বেশি লাভজনক করা যায়, সেই বিষয়ে বন শিল্প চেয়ারম্যান ইউনিট পরিদর্শন করে।

পরে বন শিল্প উন্নয়ন চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম এলপিসি ইউনিট প্রধান, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মচারী ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে কীভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠান করা যায় সে বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তখন কর্মচারী নেতৃবৃন্দ তাদের দাবি তুলে ধরলে তা বাস্তবায়নে আশ্বাস দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় ১০০ একর এলাকায় ১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে কাপ্তাই উপজেলার ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়নের শিল্প এলাকায় এই ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে এই এলাকায় প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কিছু স্কুল ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পর বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি রয়েছে ৬৯.৩৩ একর ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন