কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হবে ২ শতাধিক চাকরিজীবী

fec-image

কুতুবদিয়ায় করোনায় লকডাউন, কোয়ারেন্টিনে পড়ে দুই মাসব্যাপী কর্মস্থল থেকে অনেকেই নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। সরকারি অফিস ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীই বেশি। সরকার আর্থিক সংকট মোকাবেলায় লকডাউনে কিছুটা সীমিত আকারে শিথিল সহ রবিবার (৩১ মে) সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলছে। ফলে অন্তত ২ শতাধিক চাকুরিজীবী আসতে হচ্ছে কুতুবদিয়ায়। এর আগে চ্যানেল পারাপারে শুধুমাত্র পণ্যবাহী বোটে পুলিশের অনুমতি প্রাপ্ত যাত্রীরা পারের সুযোগ পেত। কর্মস্থলে যোগ দিতে আসা চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্য বিধি সহ ঢোকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কুতুবদিযায় এ পর্যন্ত মাত্র ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রথম জন ইতিমধ্যে চিকিৎসার পর দ্বিতীয় পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং পদক্ষেপে নিরাপদ দ্বীপটি। বাহির থেকে ফিরে আসা লোকজনকে তাৎক্ষণিক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখায় এ সফলতা এসেছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, উপজেলায় নতুন সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদানে চাকরিজীবীদের পিপিই সহ প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিরা পারাপার হলে পুলিশের কড়া নজরদারি সহ থার্মাল স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে আনা হবে। করোনার উপসর্গ থাকলে তাদের সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলেও তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, রবিবার থেকে উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে কর্মস্থলে যোগদান করতে যারা আসবেন তাদের চ্যানেল পার হলেই তাপমাত্রা মেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এর সহযোগিতায় শনিবার (৩০ মে) বড়ঘোপ ও দরবার জেটি ঘাটে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার (থার্মাল স্ক্যানার) বসানো হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিরলস সফলতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যেই তারা কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়ায়, চাকরিজীবী, শতাধিক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন