কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে বিভাগের সূচনা

fec-image

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে বহুল কাংখিত এক্স-রে বিভাগ। দ্বীপ কুতুবদিয়ায় এটি যুগান্তকারী সাফল্য হাসপাতালের। ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে রোগী সাথে সময় ও অর্থ দু‘টোই বাঁচবে। সামান্য একটা আঙ্গুল ভাঙা এক্স-রে করতে জেলা সদর কিংবা চট্টগ্রামে যেতে হয়। “ এ যেন খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি”। সাড়ে ৩ ‘শ টাকার এক্স-রে করাতে বাহিরে গিয়ে খরচ দাড়ায় ১ হাজার টাকা ।

উপজেলায় একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থাকলেও বিদ্যুৎ সমস্যায় কেউ এক্স-রে সুবিধা দিতে পারে নি। ফলে চিকিৎসা সেবায় রোগীদের ভোগান্তির সীমা কম নয়।

৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক সহ রোগ নির্ণয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম,ইসিজি, ডেন্টাল, নরমাল ও সিজার ডেলিভারী,আধুনিক ল্যাব সবই মিলছে। ছিল না এক্স-রে।

গত মাসে পরীক্ষামূলক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে রোগীদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বৈদ্যুতিক ঝুঁকিতে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পরিচালনা দূরহ ব্যাপার। এই প্রতিকুলতার মাঝেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিদিন এক্স-রে করতে পারছে রোগীরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) বুকের এক্স-রে করতে প্রত্যন্ত অঞ্চল উত্তর ধুরুং থেকে আসা নাছির উদ্দিন (৩৭), আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল গ্রামের
শিশু রোগী তাইমুল (৪) এর মা শারমিন আক্তার জানান, জীবনের প্রথম দেখলাম কুতুবদিয়ায় এক্স-রে এসেছে। তাও আবার ডিজিটাল। তারা মাত্র ৩‘শ টাকায় এক্স-রে করাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এটি দ্বীপ বাসির জন্য অকল্পনীয় সেবা বলা যায়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত রেডিওগ্রাফার অন্তু বড়ুয়া বলেন, বৈদ্যুতিক ঝুঁকিতে কাজ করতে হচ্ছে। শুরুতেই চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত রবিবার একদিনেই ১৪টি বিভিন্ন এক্স-রে হয়েছে। শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ১১৫ জন রোগীর এক্স-রে করা হয়েছে। প্রতিটি এক্স-রে মাত্র ৩০০ টাকা নিচ্ছেন বলেন জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, কুতুবদিয়া হাসপাতালের সেবার মানে জেলায় শীর্ষে এখন। অন্যান্য চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ এক্স-রে বিভাগ চালু করা হয়েছে। অবহেলিত দ্বীপের জরুরী চিকিৎসা সেবার মধ্যে এটি খুবই চাহিদা সম্পন্ন বিভাগ । রেডিওগ্রাফার দেয়া হয়নি এখনো। তার নিজ উদ্যোগে একজন রেডিওগ্রাফার দিয়ে সেবা দিচ্ছেন।

সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে একজন ডেডিওগ্রাফার জরুরী প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন