কেপিএম এ শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও সংকট নিরসনের দাবি

fec-image

বেতন ভাতা ও কর্ণফুলী পেপার মিলসের সংকট নিরসনের দাবিতে রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদ।

বৃষ্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কাপ্তাই উপজেলায় কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদ কার্যলয়ে সংগঠনটির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু। এ সময় রাঙামাটি কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান ও অর্থ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটি কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রায় ৭০ বছরের পুরনো কর্ণফুলী পেপার মিলসকে ঘিরে প্রায় ৯০০ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে। কিন্তু কালের পরির্বতনে মুখ থুবড়ে পড়েছে এ মিলটির কার্যক্রম। নানা সংকটের মুখে বন্ধ রয়েছে কেপিএমের উৎপাদন ক্ষমতা। যার ফলে মারাত্মক বিপাকে পরেছে এ মিলের শ্রমিক কর্মচারিরা। দীর্ঘ ২ মাস ধরে বেতন ভাতা বন্ধ, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে কেপিএমের শ্রমিক কর্মচারিদের। এ সংকট দ্রুত নিরসন করা না হলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে এ কেপিএমের উপর নির্ভশীল মানুষগুলোর জীবনে।

এ সময় কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেছেন, দীর্ঘ বছর যাবৎ কারখানার ওভারহলিং রক্ষনাবেক্ষণ না করার ফলে ক্রমাগতভাবে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে কারখানার লোকসান বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারখানার লাভ লোকসানের ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে জনবল হ্রাসের পাশাপাশি কিছু কিছু শাখার পুরনো মেশিন পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন করা হয়।

কিন্তু কারখানার অর্থ সংকটের কারণে বিভিন্ন শাখা আধুনিকায়ন করার পরও প্রায় প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার কারণে শত কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কর্মহীন হয়ে পরেছে শ্রমিক ও কর্মচারিরা। তাই কেপিএমের শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের বৃহত্তর স্বার্থে এ সব সংকট দ্রুত নিরসন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এ শ্রমিক কর্মচারির নেতা।

এর আগে রাঙামাটির কর্ণফুলি পেপার মিলসের এক নাম্বর গেইটের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে শ্রমিক ও কর্মচারি। এ সময় তারা গ্যাস সংকট দ্রুত নিরসন করে ২ মাস ধরে বন্ধ কেপিএমের উৎপাদন শুরু করার দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন