খাগড়াছড়ির ধর্ষণ অভিযোগ মামলা সম্পর্কে বিবিসির ভুল তথ্য!


খাগড়াছড়ির ধর্ষণ অভিযোগ মামলা সম্পর্কে গুরুতর ভুল তথ্য দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বা এফআইআর-এ উল্লেখিত অজ্ঞাত ৩ আসামীকে কোনো প্রকার রেফারেন্স বা সূত্র ছাড়াই ‘বাঙালি’ বলা হয়েছে। এতে সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্ব এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছেন খাগড়াছড়িবাসী।
বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে ১০ অক্টোবর শুক্রবার ‘সরেজমিন খাগড়াছড়ি: একদিকে ক্ষোভ-আতঙ্ক, আরেকদিকে নজরদারি’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়- ‘শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে বাঙালি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে সদর থানায় মামলা করে’। অথচ মামলার এফআইআর কপিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এফআইআর-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে অভিযুক্তগণের নামের জায়গায় ‘অজ্ঞাতনামা ৩ জন’ উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতদের জাত, ধর্ম, গোত্র, বয়স, পেশা, পিতা-মাতার নাম ঠিকানা এমনকি তারা পাহাড়ি, বাঙালি কিছু উল্লেখ নেই।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খাগড়াছড়ি ঘটনা নিয়ে টকশো অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, যেহেতু আসামীরা অজ্ঞাত, তাই তারা পাহাড়িও হতে পারে, বাঙালিও হতে পারে। তাছাড়া ওই টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অভিযোগকারী ব্যক্তির কন্যা কথিত ভুক্তভোগী মারমা কিশোরী বলেছেন, অজ্ঞাতদের বিষয়ে কোনো কিছুই তিনি জানেন না। আটক হিন্দু যুবককে স্থানীয় পাহাড়ি ছাত্ররাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি বলছেন, আটক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার সময় ওই যুবক ছিল খাগড়াছড়ি শহরের দোকানে। যার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগ কেন্দ্র করে পাহাড় অস্থিতিশীল করে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ইউপিডিএফের ইন্ধনে ‘জুম্ম ছাত্র জনতা’ রাস্তায় সহিংসতা চালিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর এবং সেনাসদস্যদের রক্তাক্ত করে। জানমাল রক্ষায় খাগড়াছড়ি শহরে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও গুইমারায় সহিংসতায় ৩ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মারমা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি চিকিৎকরা। মেডিকেল রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার খবর প্রকাশের পর অবরোধকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
তথ্যসূত্র : যমুনা টেলিভিশন ও খাগড়াছড়ি সদর থানার এফআইআর