গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড : ৪৭ হাজার আরি ধানসহ ৭ প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

fec-image

রামুর ঐতিহ্যবাহী গজর্নিয়া বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৭ হাজার আরি ধানসহ ৭ দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, একাধিক রাইচ মিল, মালের গুদাম, মোবাইল ফোনের দোকান, সেলুনের দোকানও রয়েছে। আগুনে ১০ প্রতিষ্ঠানের ৪৭ হাজার আরি ধান, সাড়ে ৩ শত বস্তা চালও রয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে  রাত দেড়টায়। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরহাদ হোসেন জানান, রাত দেড়টার পর আগুনের খবর শুনে টহল পার্টিসহ তিনি ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছেন।

তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান আবু তাহের কোম্পানীর রাইচ মিলে আগুনের কূন্ডলী। এ আগুন এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী আবু তাহের কোম্পানীর রাইচ মিলসহ ২টি আর অপর ৫টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে গেছে।তিনি সংশ্লিষ্টদের ফোন দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌছেন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।

এর সামান্য পরে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা। তারা কাজ শুরু করেন দ্রুত। অবশ্য এর আগে স্থানীয় জনতা এ আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনেন।

মিল মালিক আবু তাহের কোম্পানী জানান, তার মিলটি ভাড়ায় চলতো। এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রায় ৫০ হাজার আরি ধান ছিল। চাল ছিলো সাড়ে ৩ শত বস্তা। অন্যান্য মালামাল ও ছিলো। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার গহীন রাত ১ টা ৪০ মিনিটের সময় অজ্ঞাতনামা উৎসে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। যে আগুনে তার সব শেষ হয়ে যায় । তিনি ধারণা করছেন কে বা কারা এখানে যেকোনভাবে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা হয়তো শত্রুতাবশত এ কান্ড ঘটান।

অপর একাধিক সূত্র জানান, মিলটি সম্প্রতি বেশি চালু হয়ে যায়। এ কারণে ব্যবসায়ীরা অন্যান্য স্থান থেকে এই মিলের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। সে কারণে অন্য প্রতিষ্টানের কুদৃষ্টি পড়ে এ মিলের উপর।

অপর সূত্র জানায়, পুড়ে যাওয়া দুই মার্কেটের মালিকানা নিয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন। হয়ত এখানকার প্রতিপক্ষরাও এ কাণ্ড ঘটাতে পারে। তবে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তিনি উপরস্থদের অবহিত করেছেন। সুতরাং তারা সরকারি সহযোগীতা পাবেন। বিশেষ করে এলাকার এমপি মহোদয় বুধবার ঘটনাস্থলে আসবেন। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলবেন। সব ব্যবস্থা নেবেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকাণ্ড, রামু
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন