ঘরমুখো মানুষের চাপ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

fec-image

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) থেকেই রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে বিভিন্ন মহাসড়কে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশেও বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপও।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল, কাঁচপুর এলাকায় সরেজমিনে এমনই চিত্র দেখা যায়।

এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের। তীব্র গরমের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিও কিছুটা বেড়েছে। তবে যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারলেই খুশি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

রফিক মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদের দুই দিন আগে মহাসড়কে মানুষের চাপ বাড়ে অনেক। তাই দুর্ভোগ এড়াতে আগেই গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি।’

ইসরাফিল হোসেন, পেশায় ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম থাকায় আগেভাগে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করছি, দুদিন পর আমি নির্বিঘ্নেই গ্রামে যেতে পারবো।’

রিয়াজুল হাসান নামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে না পারলে ঈদটাই মাটি হয়ে যাবে। তাই গ্রামে বেশিদিন অবস্থান করার জন্য পরিবার নিয়ে আজ রাতেই গ্রামে চলে যাচ্ছি।’

মহাসড়কের পরিস্থিতি জানতে চাইলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকেই আজ গ্রামে যাচ্ছেন। সে কারণে আজ বিকেল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়নি। বুধবার যানবাহনের চাপ আরেও বাড়তে পারে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম মহাসড়কে মোতায়েন করা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন