চকরিয়ার অপহৃত গৃহবধূ পেকুয়ায় উদ্ধার

fec-image

পেকুয়ায় অপহৃত গৃহবধূকে উদ্ধার করছে থানা পুলিশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাত ২ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চেপ্টাখালী নামক স্থানের পাউবোর বেড়িবাঁধ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে। অপহৃত গৃহবধূর নাম বেবী আক্তার (৩৩)। সে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাইজপাড়ার নুরুল আবছারের স্ত্রী।

পেকুয়া থানার এস.আই শিমুল নাথ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে জানায়, গভীর রাতে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। মগনামা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বেড়িবাঁধে তাকে পথচারীরা দেখতে পেয়েছেন। এ সময় পুলিশকে অবহিত করা হয়। আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স জেটিঘাটের প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিনে নির্জন স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির বাড়ি চকরিয়ায়। তাকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে পৌছানো হয়েছে।

প্রাপ্ত সুত্র জানায়, গত তিন মাস আগে চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রাম থেকে বেবী আক্তার নামক ওই গৃহবধূ অপহরণ হয়েছে। তাকে খোঁজাখুঁজি  চলছিল। সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর সুত্র ধরে ওই গৃহবধূর শাশুড়ি মৃত ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী মোস্তফা বেগম (৬৫) বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন। আদালত অভিযাগ আমলে নেয়। যার সিআর নং ৮৭৭/১৯।

আর্জি সুত্র জানায়, চলতি বছরের ৭ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বেবী আক্তারকে অপহরণ করা হয়েছে। মেহেরুন্নেছা নামক এক মহিলা ও বেবী আক্তারের মধ্যে মনের ভাব তৈরি হয়। মেহেরুন্নেছার পিতার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বেবী আক্তারকে ডেকে পাঠায়। এ সময় সন্ধ্যার দিকে মুখোশপরিহিত ৫/৬ জনের চক্র ওই গৃহবধূকে একটি টমটম গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ৩ মাস আটকিয়ে রাখে। ২০ অক্টোবর গভীর রাতে তাকে অপহরণকারীরা মগনামার বেড়িবাঁধের ওই স্থানে ফেলে যায়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।

এ ব্যাপারে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ বেবী আক্তার জানায়, আমি গ্রামীণ ব্যাংক সমিতিতে মহিলাদের নিয়ে কাজ করি। প্রায় তিন মাস আগে আমাকে অপহরণ করেছে। তারা আমাকে মারধর ও বড় ধরনের ব্যাভিচার করেনি। তবে আটকিয়ে রেখেছিল। আমার চার সন্তান রয়েছে। স্বামী প্রবাসে থাকে। তারা আমার কাছ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৫ হাজার টাকা, রুপালী ও ইসলামী ব্যাংকের স্বাক্ষরকৃত চেক, নকিয়া সেট একটি নিয়ে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম গৃহবধূ উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানান, বিষয়টি আমাদের নয়। মহিলাটি চকরিয়ার। আইনগত বিষয়টি চকরিয়া থানার। তাকে চকরিয়া থানায় পাঠিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন