খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৪টি বসতঘর পুড়ে ছাই, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে চার পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে চারটি ঘরের অন্তত ৩০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানায়।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পুকপুকুরিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, শুক্রবার সকালের দিকে বদরখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পুকপুকুরিয়া এলাকায় আকস্মিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে একটি বসত ঘরে আগুন লাগে। এতে আবদুল কাদের, সোহেল, ইয়াছিন ও এরশাদের পাশাপাশি ৪টি ঘরে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে বাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরে থাকা লোকজন প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা কোনো ধরণের জিনিসপত্র বের করতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্পত রিবার দাবি করেছেন। বর্তমানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকার লোকজন জানিয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত ধারণা করা সম্ভব নয়।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে ইউপি চেয়ারম্যান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি পরিবারকে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ বিশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে অবহিত করেন। ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১৮টি কম্বল ও পরিধানের জন্য ৬ কার্টন বস্ত্র তুলে দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নিকাণ্ড, চকরিয়া, বসতঘর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন