চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২
চকরিয়া প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় খুটাখালী স্টেশনে গত বুধবার মহাসড়কের দুই পাশ দখলে নিয়ে বসানো পশুর হাট সরিয়ে নিতে বলায় পুলিশের ওপর হামলা ও ব্যবহৃত ভ্যানে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই থানায় একটি মামলা রুজু করে মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুর রহমান।
সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশ আক্রান্তের অভিযোগ দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে ১১৫ জনকে। তন্মধ্যে এজাহারনামীয় আসামী করা হয় ১৫ জনকে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এই মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামী দেখিয়ে মামলা দায়ের করার ঘটনায় খুটাখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খুটাখালী গ্রামের মৃত আবদু ছোবহানের ছেলে মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন (৪৪) ও একই ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি গ্রামের মাষ্টার বশির আহমদের ছেলে আরিফুল ইসলাম জনি (২৫)।
পুলিশ সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষ্যে মহাসড়কে কোন ধরণের পশুর হাট বসানো যাবে না, এমন নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু খুটাখালী বাজারের কথিত ইজারাদার আবু তাহের সরকারের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কের খুটাখালী স্টেশনের দুইপাশ দখলে নিয়ে পশুর হাট বসায়। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ মহাসড়কে বসানো পশুর হাট সরিয়ে নিতে বললে ক্ষুদ্ধ হন কথিত ইজারাদার আবু তাহের। এ সময় তার উস্কানীতেই পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের ব্যবহৃত গাড়িতে ভাঙচুর করে উচ্ছৃক্সক্ষল লোকজন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আপাতত দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামীদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে অজ্ঞাত হিসেবে কোন নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এ বিষয়ে পুলিশ খুব সজাগ রয়েছে এবং এনিয়ে এলাকা ছেড়ে যাওয়ারও কোন কারণ নেই কারোরই।’