ইউপি নির্বাচনের বিরোধে

চকরিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচনের বিরোধে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোহাম্মদ সেলিম (৪২) নামের এক মেম্বার প্রার্থীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় শফিউল আলম (৩৮) নামে অপর এক চৌকিদারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর উত্তরপাড়া স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ সেলিম ওই ইউনিয়নের মানিকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। অপর আহত শফিউল আলম একই এলাকার মৃত আবু ছালাম সওদাগরের ছেলে।

নিহত সেলিমের বৃদ্ধা বাবা নুর মোহাম্মদ ও স্ত্রী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে যায় শফিউল আলম। মানিকপুর উত্তরপাড়া স্টেশনে দোকানে বসে কথা বলেছিল। ওই সময়ে অতর্কিত সেখানে এসে একাধিক মামলার আসামি জাহেদুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ জাহেদ মেম্বার আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় একসঙ্গে থাকা চৌকিদার শফিউল আলমকেও কুপিয়ে জখম করে এবং পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলে পালিয়ে যান জাহেদ মেম্বার।

নিহতের বাবা নুর মোহাম্মদ আরো বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মানিকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জাহেদ সিকদারের বিরুদ্ধে ভোট করেন আমার ছেলে সেলিম। নির্বাচনে আমার ছেলে অল্প ভোটে পরাজিত হলেও সেই থেকে তাঁকে মারবে কাটবে বলে নানাভাবে হুমকি ও শাসিয়ে আসছে জাহেদ মেম্বার। এরই জের ধরে আমার ছেলেকে জাহেদ মেম্বার কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, হামলার ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ সেলিম, গুরুতর আহত চৌকিদার শফিউল আলম ও হামলায় নেতৃত্বদানকারী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার জাহেদ সিকদার তিনজনই মানিকপুরের যুবলীগ নেতা আবু বক্কর হত্যা মামলার আসামি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ সেলিম নামে একজনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

ওসি আরো বলেন, ঘটনায় অপর আহত শফিউল আলমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে ঘটনায় জড়িত ঘাতক জাহেদ মেম্বারসহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন