ইয়াবা পাচারে নিরাপদ যাতায়াত নৌ-পথ

চকরিয়ায় পুলিশের অভিযানে সর্ববৃহৎ ইয়াবা চালান জব্দ, সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় থানা পুলিশের নির্দিষ্ট পোশাক পরিবর্তন করে মাছ ধরার জেলে সেজে চকরিয়া-মহেশখালী চ্যানেলে সমুদ্র পথে পাচার হওয়া ইয়াবার সর্ববৃহৎ চালান জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল রাত থেকে শ্বাসরুদ্ধ অভিযান চালিয়ে ইয়াবার সর্ববৃহৎ এ চালান জব্দ করেন।

চকরিয়া থানার (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ও সঙ্গীয় বিশাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানায়- কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে পাচারের সময় এক চালানেই জব্দ করা হয় ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রতি পিস ইয়াবা ৩শত টাকা হারে জব্দকৃত এই ইয়াবার বর্তমান বাজারমূল্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চকরিয়া থানার ইতিহাসে এত বড় ইয়াবার চালান আগে কখনো উদ্ধার বা জব্দ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

রবিবার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পশ্চিমাংশে চকরিয়া-মহেশখালী সমুদ্র চ্যানেলের বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ইয়াবা উদ্ধারের দুঃসাহসিক এই অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানে নেতৃত্বে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলীর সাথে ছিলেন থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজীব কুমার সরকার, এসআই জামাল চৌধুরী, এসআই কামরুল ইসলাম, এএসআই পারভেজ মাহমুদসহ সঙ্গীয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

পুলিশ আরো জানায়- চকরিয়া থানার ইতিহাসে এত বড় ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়নি। এবারই প্রথম এই ইয়াবার চালান জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম কেটে একে একে বের করা হয় অত্যাধুনিক মোড়কের ১২৫টি কার্ড বা পোটলা। এসব পটলার প্রতিটিতে ১০ হাজার পিস করে সর্বমোট ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হলো।

বড় ধরনের এ ইয়াবার চালান জব্দের একমাত্র কারিগর চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে ইয়াবার এই চালান জব্দ করার জন্য পুলিশের চোখে ঘুম ছিল না। গোপন সোর্সের দেওয়া তথ্য শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার দিবাগত রাত থেকে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মাছ ধরার জেলে সেজে সমুদ্র উপকূলের চকরিয়া অংশের খুটাখালীর বহলতলী চিংড়িজোন এলাকায় ওত পেতে থাকে। এতে পরদিন সোমবার ভোরে আসে ইয়াবার চালান জব্দের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।

এ ব্যাপারে (চকরিয়া সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রকীব উর রাজা বলেন, সর্ববৃহৎ ইয়াবার চালান পাচারের ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে, তাদের ব্যাপারে ব্যাপক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের তৎপরতায় ইয়াবাভর্তি ট্রলার ফেলে যারা পালিয়েছে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা জব্দ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন