চকরিয়ায় ধানের শীষের প্রার্থীর পথসভায় হামলা : মেয়রসহ আহত ২০

haider

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থনে পথসভা অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের নৌকা সমর্থিত সংঘবদ্ধ বাহিনীর অতর্কিত হামলা ও গুলি চালিয়ে মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এনামুল হক সহ অন্তত ২০জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

গতকাল সোমবার সাড়ে ৬টার দিকে পৌরশহরের গ্রামীণ ব্যাংক সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারকে প্রথমে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎস্যক।

এ ঘটনায় পৌরশহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম মোবারক আলী ও পৌর বিএনপিরর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াসউদ্দিন সাংবাদিকদের অভিযোগ করেছেন, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের গ্রামীন ব্যাংক সেন্টার এলাকায় ধানের শীষের সমর্থনে পথাসভা শুরু হয়। সভা আরম্ভ হওয়ার পর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখরুদ্দিন ফরায়েজী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থিত ২৫/৩০ জনের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী ধানের শীষের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা এসে মেয়র প্রার্থী হায়দারসহ নেতৃবৃন্দের উপর হামলা করে। ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলাম হায়দারকে মাথায় কাঠের বাটামের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং বুকে ছুড়া ইট নিক্ষেপে গুরুতর জখম হয়। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্যকরে গুলি ছুড়লে তা পায়ে লাগে।

এসময় আহত হয় জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এনামূল হক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখরুদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা নুরুল কবিরসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতা মোবারক আলী ও এম গিয়াসউদ্দিন জানান, তারাও হামলার শিকার হয়েছেন। আহত মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত মেয়র হায়দারের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন তার সাথে থাকা লোকজন ও কর্তৃব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে মেয়র হায়দারের উপর এবং ধানের শীষের নির্বাচনী পথসভায় নৌকা সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া।

তিনি নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত রাখার স্বার্থে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন সহ হামলাকারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবী করেছেন।

এ ঘটনায় পৌরশহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, বিএনপি পথসভা করার সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থিত লোকজন অন্যদিক থেকে শ্লোগান দিয়ে আসায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে কোনো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করেন ওসি ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন