চকরিয়ায় হেব্রন মিশনে ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষিত, আটক- ১

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় হেব্রন মিশনে স্কুল পড়ুয়া এক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। লামা থানা পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মিশু বড়ুয়া (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সীমান্ত বমু বিলছড়ি ইউনিয়নস্থ ৩নম্বর ওয়ার্ডের হেব্রন মিশনের মহিলা হোস্টেলের টিউবওয়েলের পাশ্বোক্ত এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আটক মিশু বড়ুয়া চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে।

হেব্রন মিশনের হোস্টেল সুপার গ্রেনার ত্রিপুরা বলেন, ধর্ষণের শিকার ভিকটিম লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও হেব্রন মিশনের হোস্টেলে থাকে। ধর্ষণের ঘটনার পর পরই লামা থানা পুলিশ আক্রান্ত মেয়ের স্বীকারোক্তি মতে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

লামা সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ রবিন জানান, ভিকটিমের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স রেশমি দাশ বলেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত লক্ষ্য করা গেছে। তবে মেয়েটির প্রিয়ড চলছে, বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ঘটনার আসল বিষয় জানা যাবে না।

ভিকটিম জানায়, সে টিউবওয়েলে পানি খেতে যায়। তার সাথে আরমান ত্রিপুরা ছিল। আরমানকে আহত করে মিশু বড়ুয়া তাকে ধর্ষন করেছে। আরমান ত্রিপুরা পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের অভিরাম মেম্বার এর ছেলে। আটক মিশু বড়ুয়া মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্মচারী বলে দাবী করে। সে বমু বিলছড়ি হেব্রন মিশনের হোস্টেলের চাল নিয়ে এসেছিল বলে দাবী করেছে।

তিনি বলেন, আমি সিগারেট খেতে মিশনের পূর্ব পাশে গেলে সেখানে আরমান ত্রিপুরা নামে একজনকে মেয়েটির সাথে কুকর্ম করতে দেখি এবং মেয়েটির গায়ের কাপড় এক পাশে পড়ে থাকতে দেখি। সেখানে আরমানের সাথে আরো একজন ত্রিপুরা ছেলে ছিল। আমি মেয়েটির কাপড়চোপড় হাতে নিলে তারা প্রথমে আমার কাছে ঘটনা ধামাচাপা দিতে অনুরোধ করে। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হলে তারা উল্টো আমাকে ধর্ষক বলে ফাঁসিয়ে দেয়।

হেব্রন মিশনের পরিচালক সুভাষ ত্রিপুরা বলেন, ঘটনাটি চরম আপত্তিকর ও ভীতিকর। মহিলা হোস্টেলে এমন ঘটনা আমাদের আতংকিত করেছে। আমাদের অন্যান্য শিশুরা ভয় পাচ্ছে। প্রকৃত দোষীর শাস্তি কামনা করছি। আমরা আইনীভাবে লড়বো।

ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাস্থলটি চকরিয়া উপজেলার এরিয়ায় পড়েছে। একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আমরা এখানে এসেছিলাম। অনুষ্ঠান প্যান্ডেলের পিছনে শোরগোল শুনে ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায়।

জনতার হামলা থেকে বাঁচাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মিশু বড়ুয়া নামের একজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসি। তবে ভিকটিম দাবী করেছ আটক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তি ও ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী আরমান ত্রিপুরাকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনাটি নিয়ে আইনী প্রক্রিয়া সেখানে হবে৷

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী, ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীতে ধর্ষণ, ধর্ষণ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন