চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিপি’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
‘সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শাখার সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট চবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবি শাখার আহবায়ক সিমন চাকমার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও ইউপিডিএফের চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের সংগঠক বকুল কান্তি চাকমা এবং পরিচালনা করেন জুপিটার চাকমা। সম্মেলনে থুইক্যচিং মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদে পিষ্ট।
সাম্প্রতিক খাগড়াছড়ির তাইন্দং-এ সেটলার বাঙালি কর্তৃক সংঘটিত বর্বরোচিত ঘটনাকে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত আখ্যায়িত করে তিনি হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও যথোপযুক্ত বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান। ইউপিডিএফ সংগঠক বকুল কান্তি চাকমা বলেন, বিজিবি’র প্রত্যক্ষ মদদে সেটলাররা তাইন্দং-এ হামলা চালায়, যা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তিনি পাহাড়িদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের দাবি জানান।
সিমন চাকমা তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প অপসারণসহ বহিরাগত সেটলারদের সম্মানজনকভাবে সমতলে পুনর্বাসন করতে হবে। সম্মেলন শেষে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে জুপিটার চাকমাকে সভাপতি, রিটন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুকান্ত চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।