চিকিৎসক ছাড়া চলছে বান্দরবানের ডায়াবেটিক হাসপাতাল
বান্দরবানের ডায়োবেটিক হাসপাতালে ২০১৭-২০১৮ সালে ডাক্তার থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে মাত্র ৫ জন জনবল নিয়ে ডাক্তার ছাড়াই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ হাসপাতালটি।
সরেজমিন দেখা গেছে, এ হাসপাতালে একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, একজন অফিস সহকারী, একজন নাইড গার্ড ও একজন আয়া হাসপাতাল বর্তমান কর্মরত থাকলেও অফিস রুমে একজন মাত্র অফিস সহকারী বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানে তিনি কয়েকজন রোগির সাথে কথা বলছেন। বাইরে বসে আছে আরেকজন স্টাফ। তবে পরিদর্শনের সময় অন্য কাউকে দেখা যায়নি। একমাত্র ল্যাবটিও ছিল খালি।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, এ হাসপাতালে শুধুমাত্র টেস্টই হয়। তবে ডাক্তার আর ওষুধ কিছুই নাই। আগে এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জনেরমত রোগি থাকলেও ডাক্তার আর ওষুধ না থাকায় বর্তমানে রোগির সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১০ থেকে ১৫ জনের মত। তারা শুধুমাত্র ব্লাড টেস্ট করতে পারেন।
হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করতে আসা এক রোগি ইসহাক জানান, এ হাসপাতালের রক্ত পরীক্ষার মেশিনটি তুলনামূলক ভাল। তাই এখানেই পরীক্ষা করতে আসছি। তবে ডাক্তার থাকলে আরো ভাল হতো।
এ বিষয়ে হাসপাতালের অফিস সহকারী ওয়াংম্রা থুই মারমা জানান, এখানে রোগিরা আসলেও শুধুমাত্র ব্লাড টেস্ট করে চলে যান। ডাক্তার দেখাতে না পেরে অনেক সময় রোগিদের কাছ থেকে কথাও শুনতে হয় তার। তিনি বলেন, এখানে একজন ডাক্তার জরুরী। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানিয়েছি।
ডায়াবেটিক হাসপাতালের সভাপতি ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জানান, প্রতিদিন এ হাসপাতালের পিছনে দেড় হাজার টাকারমত খরচ হয়। অথচ আয় হয় মাত্র ৫শ টাকার মত। যার কারণে এটি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিচালনা পর্ষদকে। এ বিষয়ে পার্বত্যমন্ত্রীর সাথেও কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। খুব শীগ্রই হাসপাতালে ডাক্তার নিয়োগসহ সকল ধরনের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।