চিরচেনা বান্দরবান ট্রাফিক মোড় যেন অচেনা

fec-image

করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধের লক্ষ্যে লকডাউনের পর চিরচেনা বান্দরবান শহরের ট্রাফিক মোড় যেন অচেনা রূপ ধারণ করেছে। শহরের ব্যস্ততম ট্রাফিকমোড় কিংবা বাস স্টেশন এলাকা একেবারেই ফাঁকা হয়ে গেছে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে গত তিনদিন বান্দরবানের সাথে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ। শুধু দূরপাল্লার নয়, শহরের ছোট বড় সব ধরণের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।

ছোট পরিবহণগুলো বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রেতারা। প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে অনেকে বাজারে এলেও কোন ধরনের পরিবহন না থাকায় পণ্যদ্রব্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।

বাজার করতে আসা কয়েকজন জানান, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রেখেছে যাতে মানুষ জরুরী দ্রব্য ক্রয় করতে পারে। কিন্তু শহরে টমটম, সিএনজি ও রিকশা সব পরিবহন বন্ধ। তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে বাসায় নিব কিভাবে?

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জেলা শহরে সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন উপজেলা বিজিবি, পুলিশ নিয়মিত টহল দিতে দেখা গেছে। পরিবহন না চলায় রাস্তায় মানুষের আনাগোনা তেমন একটা নেই বললেই চলে। চারিদিকে ফাঁকা এবং নিস্তবদ্ধতা বিরাজ করছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিকসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি গাড়ি মাঝে মধ্যে রাস্তায় দেখা গেছে। এসব পরিবহণগুলোকে জীবাণুনাশক করতে বিভিন্ন সংস্থা থেকে স্প্রে করেছেন।

জেলা প্রশাসক মো: দাউদুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষজনকে বাড়িতে অবস্থান করার জন্য সচেতন করা হয়েছে। জরুরী পণ্যের দোকান সকাল ১০টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছে। যাতে মানুষ জরুরী দ্রব্য ক্রয় করতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, বান্দরবান, সামাজিক দুরত্ব
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন