বান্দরবানে কর্মহীন মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন সাত যুবক

fec-image

পুরো দেশের মতো পাহাড়ি জেলা বান্দরবানেও পড়েছে করোনাভাইরাসের প্রভাব। জেলার তিনটি উপজেলা লকডাউনের পাশাপাশি জেলা শহরও অঘোষিত লকডাউনে রয়েছে। এই অবস্থায় অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারে স্থবিরতা নেমে এসেছে। থমকে গেছে তাদের জীবনযাত্রার মান। এরকম ক্রান্তিকালে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ঘরবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন বান্দরবানের সাত যুবক।

ভিন্ন ভিন্ন পেশার এই যুবকদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মো. ইকবাল করিম, সাংবাদিক ফরিদুল আলম সুমন, বান্দরবান সরকারি কলেজের প্রভাষক মেহেদী হাসান, সাংবাদিক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, সেচ্ছাসেবক শাহ সাইফুল সনেট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহবায়ক মো. আমজাদ হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক রাজেশ দাস। তাদের সাথে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন বিডিক্লিন এবং সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।

করোনার ক্রান্তিকালে ‘করোনা স্বেচ্ছাসেবক-বান্দরবান’ নামে একটি ফেসবুক প্লাটফর্ম তৈরি করে ঘরবন্দী নিন্ম মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ঘরে ঘরে অভিনবভাবে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। তাদের পাশাপাশি মানবসেবায় অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

উদ্যোক্তা সমন্বয়ক আইনজীবী মো. ইকবাল করিম বলেন, ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ভালোবাসার হাত বদল স্লোগানে অর্থ ও নিত্যপন্য সংগ্রহ শুরু হয়। শুরুতে এডমিনরা নিজেদের সামর্থ্যনুযায়ী অর্থদিয়ে ফান্ড গঠন করে। পরে আশপাশের সামর্থ্যবান মানুষের সহযোাগতায় আমাদের পরিসর বড় হয়।

ইতোমধ্যে বান্দরবান পৌরসভা এবং সদর উপজেলার ৫‘শ পরিবারকে ভালোবাসার হাত বদল করে খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট দিতে সক্ষম হয়েছি। চলমান কাজের মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে এ উপহার সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

উদ্যোক্তা সিটিজেন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের মাধ্যমে করোনা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সচেতনতামূলক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছি। উদ্যোক্তা এডমিন এবং সেচ্ছাসেবকরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সহযোগিতার জন্য খোঁজ নেওয়া হচ্ছে কার কি প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, ফেসবুক, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন