টেকনাফের সাবরাংয়ে সক্রিয় শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার :
ক্রসফায়ার, গ্রেফতার, মামলা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জিরো টলারেন্স কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা টেকনাফের সর্বনাশা ইয়াবা আগ্রাসন। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অব্যাহত অভিযানে তালিকাভূক্ত শীর্ষ ইয়াবা গডফাদাররা গা ঢাকা দিলেও পর্দার অন্তরালে থাকা টেকনাফ উপজেলার আরও অসংখ্য ইয়াবা ব্যবসায়ী সু-কৌশলে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। টেকনাফ পৌরসভা, সদর বাদ দিয়ে পাচারকারী চক্র রুট পরিবর্তন করে টেকনাফের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইউনিয়ন সদর, এমনকি গ্রামকে বেছে নিয়েছে। শুধু তাই নয় মুদি দোকান, চালের আড়ত ব্যবসার অন্তরালে এসব হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল ইয়াবা ব্যবসা চালিয়েই ক্লান্ত হচ্ছে না। মজুদ করছে মরণ নেশা ইয়াবা। টেকনাফের সাবরাংয়ে চালের আড়তের অন্তরালে মোহাম্মদ হোছন নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচার ও মজুদ অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র জানায়, মানব ও ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট সাবরাংয়ের টেকনাইফ্যা খাল। খালের লাগোয়া সাবরাংয়ের মন্ডল পাড়ার হাজি আবুল কাশেমের বাড়ি। হাজি আবুল কাশেমের ৭ পুত্রের মধ্যে চাল দোকানদার মোহাম্মদ হোছন ও হাছান সরাসরি ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারে জড়িত।
স্থানীয়ভাবে মোহাম্মদ হোছন ইয়াবার ব্যবসাটি দেখভাল করলে ঢাকা চট্টগ্রামের ব্যবসা দেখাশুনা করে তার ছোট ভাই হাছান। সূত্র আরও জানায়, মুন্ডার ডেইলের হেলাল নামের এক যুবক ইয়াবার চালান ক্যারিয়ারের বিষয়টি এত কিছুর পরও ভালই সামলে নিচ্ছেন। বিশেষ করে শুকনা মাছের চালানে ইয়াবা ঢুকিয়ে পাচারে সিদ্ধহস্ত এই ইয়াবা চক্রটি। বর্তমানে অতি সংগোপনে এই সিন্ডিকেটের ব্যবসা ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ মতো বেশ ক’টি জেলায় বিস্তার লাভ করেছে। আর এ খাতে এই পর্দার অন্তরালে থাকা ইয়াবা সিন্ডিকেট আয় করেছে কোটি কোটি টাকা।
সূত্র মতে, মোহাম্মদ হোছনের নিজের নামে টেকনাফে এ.বি ব্যাংকে এবং স্ত্রীর নামে ইসলামী ব্যাংকে আলাদা একাউন্ট রয়েছে। স্বামী স্ত্রীর দুই একাউন্ট ছাড়াও নিকটাত্মীয়দের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে দিব্যি কোটি কোটি টাকা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব একাউন্টে সুচতুর মোহাম্মদ হোছেন ইয়াবা ব্যবসার কোটি কোটি টাকা নিয়মিত লেনদেন করছে।
স্থানীয়ভাবে ধণাঢ্য এই সিন্ডিকেট ইতোমধ্যে নিজস্ব ফিশিং বোটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার মানব পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এব্যাপারে তার মুঠো ফোন ০১৬২০১০৫৬৮৬ এবং ০১৮১৯৯৪৪০৯৮ নাম্বারে বক্তব্য নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন দুটিই বন্ধ পাওয়া যায়।