টেকনাফে সেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধের রাস্তা সংস্কার

teknaf pic (23-10-15

টেকনাফ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও ছিন্নভিন্ন হওয়া বেড়িবাঁধের রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত কাজ শুরু করেছে শাহপরীর দ্বীপ অটোরিক্সা চালক শ্রমিকেরা। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বেড়িবাঁধে মাটি ফেলে ১৫ জন চালক শ্রমিক এ নির্মাণ কাজ শুরু করে।

জানা গেছে, বেড়িবাঁধের একপাশে নাফনদী অপর দু’দিক থেকে বঙ্গোপসাগর। পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বদিক থেকে পানির তোড়ে ভাঙ্গন ধরায় ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ পূর্বের বেড়িবাঁধের রাস্তা। বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশা থেকে সেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে শাহপরীর দ্বীপ একতা অটোরিক্সা চালক-শ্রমিকেরা।

স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনের সময় বেড়িবাঁধ নির্মাণের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতারা। কিন্তু নির্বাচন পার হলে আর কোন জনপ্রতিনিধির দেখা মিলেনি। এছাড়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়নি কোন উন্নয়নের কাজ।

শ্রমিক নেতা মো. এনাম উল্লাহ বলেন, নিজেদের স্বার্থেই আমরা সেচ্ছাশ্রমে রাস্তা করেছি। সরকারীভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় নিজেরাই ভরাট করছি বেড়িবাঁধের উভয় পাস। যার ফলে ৪০ হাজার মানুষের অনেক দিনের কষ্ট লাঘব হবে।

ইতিমধ্যে তিনবছর পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে বেড়িবাঁধ নির্মাণে এখনো কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সকল মানুষের খোঁজ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের বার বার আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনো ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এতে বেড়িবাঁধের দাবিতে দিন দিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দ্বীপের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা আলমগীর জানান, লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেছে মানুষের ঘর ভিটা, ফসলি জমি, মাছের ঘের, পুকুর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

শাহপরীরদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম জানান, টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ চলাচলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজের) কক্সবাজার কার্যালয় উখিয়ার উপসহকারী প্রকৌশলী (টেকনাফের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) পলাশ চাকমা বলেন, বেড়িবাধ নিমার্ণ না করা পর্যন্ত জোয়ার-ভাটায় ডুবে থাকা সড়কের মেরামত কাজ করা কোন ভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বেড়িবাঁধটি নির্মিত হলে সড়কের কাজ শুরু হবে।’

বিশেষতঃ শাহপরীরদ্বীপের পূর্বের অংশের বেড়িবাঁধের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। “জো ” এর সাথে সাথে সাগরের পানি বৃদ্ধি পায়। তার ফলে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন ধরে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন