কক্সবাজারে দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জন উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত

Cox Pic

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সমপ্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কোথাও নিরাপত্তার সংকট নেই। তার বাস্তব প্রমাণ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে সনাতনী ধম্বালম্বীদের এই বিসর্জন উৎসবে সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতি। সত্যি কক্সবাজারের এই সম্প্রীতি জাতি ও দেশের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে।

তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশের ২৯ হাজার পূজা মন্ডপে কোন বিশৃংখলা না হয়ে সনাতনী ধর্মালম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তার জন্য সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পূণ্যার্থীর ঢলে বিসর্জন হলো দেড় শতাধিক মা দেবী দুর্গার প্রতিমা। গতকাল শুক্রবার মহা বিজয়া দশমীর দিবসে ভারাক্রান্ত ভক্তদের আবেগঘন মিনতি রেখে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এসময় দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পৃথিবীর প্রসিদ্ধ বালুকাময় পর্যটন স্পট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার জেলা পূজা কমিটি আয়োজিত দেশের বৃহত্তম বিসর্জন অনুষ্ঠান সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতির বন্ধণে পরিণত হয় মিলনমেলার কেন্দ্রবিন্দুতে। নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে বিভিন্ন স্তরের প্রশাসন। শাস্ত্রীয় রীতি অনুযায়ী ৫ দিনের ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেলার অন্তত দেড় শতাধিক টি প্রতিমা নিয়ে আসা হয় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে।”

DSC_0255

এদিকে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, জেলার পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্নভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন ও প্রতিমাসমূহ বিসর্জনের সহিত প্রশাসনসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় কমিটির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞ।

অন্যদিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গাপূজা ও সমুদ্র সৈকতে দেশের বৃহত্তম বিসর্জন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সাদা পোশাকে পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক দল। তাছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এবারের বিসর্জন উৎসবে রং ছিটানো আর আতশবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সঞ্চালনায় দেশের বৃহত্তম বিসর্জনোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, মহিলা সাংসদ খোরশেদ আরা হক, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে আহমদ হোসাইন, সাধারন সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র সরওয়ার কামাল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা সুমেশ্বর চক্রবর্তী, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলিগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও জেলা মহিলা আওয়ামীলিগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাকসহ জেলা ও উপজেলা এবং সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন