তাইন্দং বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড :২৫ দোকান পুড়ে ছাই

fec-image

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ যখন সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকানপাট বন্ধ করে যার যার বাড়ি ঘরে অবস্থান করছিল তখন ভর দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাউন্দং বাজারের ২৫টি দোকান।

শনিবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা মেনে সবাই যখন দোকানপাট বন্ধ করে যার যার বাড়িতে অবস্তান করছে তখন আগুনে সব নি:শেষ হয়ে গেছে। আগুন লাগার পরপরই মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

এতে তাইন্দং বাজারের একে একে অন্তত ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাইন্দং বাজারের জনৈক আমির হোসেনের হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয় বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে।

তাইন্দং বাজারের কম্পিউটার দোকাদার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তার দোকানে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ আগুন তাকে নি:স্ব করে দিয়েছে জানিয়ে বলেন, অনেক কষ্টে তিলতিল করে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি।

তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে তাইন্দং বাজারের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেন তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মাটিরাঙ্গা ইউনিটের স্টেশন মাস্টার মো. সাদেকুর রহমান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল তাইন্দং বাজারে ছুটে যান এবং ক্ষতিগ্রস্থ তাইন্দং বাজার পরিদর্শন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিসদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. হুমায়ুন মোরশেদ খান। এ সময় তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা রিসোর্স ইনস্ট্রাক্টর আসগর হোসেন, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা ও তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আগুন, করোনাভাইরাস, মাটিরাঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন