ত্রাণের অভাবে চরম সংকটে সিরিয়ার হাজারো মানুষ

fec-image

বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এলাকায় কাজ করছে এমন একটি বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেট এর প্রধান জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তারা জানান, ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে। খবর বিবিসি।

রায়েদ আল-সালেহ বলছেন, জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রথম ত্রাণ-বাহী গাড়িবহর তুরস্ক থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ঐ অঞ্চলে প্রবেশ করে। তবে হোয়াইট হেলমেট বলছে, ঐ রসদ-পত্র ভূমিকম্পের আগে সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল এবং উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য জরুরি রসদ-পত্র তাতে ছিল না।

ইডলিব থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জেনেভায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলার সময় আল-সালেহ বলেন, ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর যে ত্রাণ বহর উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় পৌঁছেছে তাতে ছিল মাত্র ছয় ট্রাক ভর্তি সাহায্য সামগ্রী এবং এগুলো ভূমিকম্পের আগেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।

তুরস্ক থেকে সিরিয়া পর্যন্ত স্থল সীমান্তের ক্রসিংগুলো রাশিয়ার পীড়াপীড়িতে কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয় ভূখণ্ডের কিছু অংশে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিতরণ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রাশিয়া বলেছে, সাহায্য সামগ্রীগুলি দামেস্কের সরকারের মাধ্যমে যাওয়া উচিত। কিন্তু হোয়াইট হেলমেট আজ শুক্রবার দাবি করেছে যে ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার সরকার উত্তর সিরিয়ায় ‘কিছুই’ পাঠায়নি।

আল-সালেহ আরও কিছু মানবিক করিডোর খোলার জন্য জাতিসংঘকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা “রাশিয়াকে রাগাতে চায়নি” বলে তিনি বলেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অবশ্যই আল-সালেহ’র এই ব্যাখ্যা মেনে নেবেন না।

জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এ সপ্তাহান্তে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় যাচ্ছেন। তবে এই সফরের সময় তিনি হোয়াইট হেলমেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর চার দিন পার হয়েছে এবং সাহায্যের অভাবে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার পরিস্থিতি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন।

উত্তর সিরিয়ার একটি হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোহাম্মদ হাসাউন বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর এখন তাদের কাছে যে চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে তা দেশের উত্তরাঞ্চলের ২০% মানুষের চাহিদাও পূরণ হবে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে বলা হয়, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি শুক্রবার জানিয়েছে যে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায়, যেখানে ৯০% মানুষ সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে খাদ্যের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন