দীঘিনালায় জেএসএসের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়াতে ভাইকে অপহরণের অভিযোগ
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে, ছোট ভাইকে অপহরণের অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচনী গণসংযোগে বাধাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমব্রত চাকমার ভাইকে অপহরণের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, জেএসএস(এমএন লারমা) দলের সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী শান্তি লোচন দেওয়ান। গত শুক্রবার অপহরণের এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমব্রত চাকমা সমর্থিত কর্মীরা রাস্তা অবরুদ্ধ করে গাড়ি দাড় করিয়ে শান্তি লোচন চাকমার কর্মীদের তল্লাশী করে। এ ঘটনায় দুই প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমব্রত চাকমা অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর থেকেই জেএসএস(এমএন লারমা) সমর্থিত প্রার্থী শান্তি লোচন দেওয়ানের কর্মীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বার বার বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
গত শুক্রবার নির্বাচনী গণসংযোগ করে মেরুং ইউনিয়নের আটারকছড়ার চৌধুরী পাড়া এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায় বলে লোচন দেওয়ান জানান। এ ঘটনায় সকলকে ছেড়ে দেয়া হলেও আমার ছোট ভাই পুর্ণজীবন চাকমাকে এখনো আটক করে রেখে মুক্তিপণ দাবি করছে। অপহরণকারীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোসহ এক লাখ টাকা পরিশোধ করা হলে আমার ভাইকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়।
চেয়াম্যান প্রার্থী হেমব্রত চাকমা আরো অভিযোগ করেন, এর আগে ১১ এপ্রিল গণসংযোগে গেলে আমার ৭জন কর্মীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
গত শনিবার সরেজমিনে উপজেলার ১ নম্বর মেরুং ইউনিয়নের বিভুতি রঞ্জন কার্বারী (প্রার্থীর বাবা) পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমব্রত চাকমার কয়েকশ কর্মী সমর্থক দীঘিনালা লংগদু সড়কে গাড়ি থামিয়ে প্রতিপক্ষ শান্তি লোচন দেওয়ানের কর্মীদের তল্লাশী করছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেতছড়ি এলাকার বাচ্চুমনি চাকমা (২৬) জানান, হেমব্রত চাকমার প্রচার গাড়ীতে আমি নিজে ছিলাম। প্রচার গাড়িটি আটারকছড়ার চৌধুরী পাড়া এলাকায় পৌছলে বেশ কিছু লোকজন প্রচার গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় চারজন অস্ত্রধারী এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পরে মারধর করতে করতে প্রার্থীর ভাইকে বেঁধে নিয়ে চলে যায়।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস-এমএন লারমা সমর্থিত প্রার্থী শান্তি লোচন দেওয়ান জানান, ‘অপহরণের বিষয়গুলো আমিও লোক মুখে শুনেছি। তবে আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন। বরং শনিবার আমার লোকজন প্রচারণায় যাওয়ার সময় বেতছড়িতে ঘোড়া প্রতীকের লোকেরা আটকানোর চেষ্টা চালায়, তখন পুলিশের সহযোগিতায় তারা আসতে পেরেছে।’
এব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, অপহরণের অভিযোগে মামলা করতে হেমব্রত চাকমার পক্ষের লোক থানায় এসেছেন।