নজরুল জন্মজয়ন্তীতে শত শিশুর কণ্ঠে ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’

fec-image

১১ই জৈষ্ঠ্য ১৪৩০/ ২৫শে মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধু চেতনার শাণিতরূপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে নজরুল জয়ন্তী পালিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে রচিত হয়েছে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ কিছু কবিতা। বিদ্রোহী কবিতার “বল বীর – চির ইন্নত শির” পড়লেই বঙ্গবন্ধুর “দাবায়ে রাখতে পারবা না”র কথা মনে পড়ে যায়।’

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো ড. রতন সিদ্দিকী। তিনি তার বক্তব্যে কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, সংগ্রাম, লেখনী নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম ১৯২১ সালেরএক ডিসেম্বরে এক রাতের মধ্যে লিখে ফেললেন অমর কবিতা ‘বিদ্রোহী’।

১৯২১ এর চির উন্নত মম শির নিয়ে তিনি আজীবন বেঁচেছেন। যখন বাকরুদ্ধ, যখন অর্থশূন্য, যখন দারিদ্রতা তাকে গ্রাস করেছে, যখন পুত্র বিনা চিকিতসায় মারা যাচ্ছে, যখন র্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না তখনও নজরুল চির উন্নত মম শির।’

স্বাগত বক্তব্যে শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, ‘অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের শতবর্ষের প্রতিপাদ্য ’অগ্নিবীণার শতবর্ষ: বঙ্গবন্ধু চেতনার শাণিতরূপ’ অগ্নিবীণায় যে ত্যাগ, দ্রোহ, তেজ ছিল, বঙ্গবন্ধু সেই ত্যাগ, দ্রোহ, তেজ নিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

লাকী ইনাম তার বক্তব্যে কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ কবিতা এবং নারীদের নিয়ে সাম্য এবং অধিকারের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজিত রচনা এবং কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পরে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শত শিশুর কন্ঠে আবৃত্তি করা হয় অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অমর কবিতা তোরা সব জয়ধ্বনি কর। প্রশিক্ষণার্থী শিশুরা পরে নজরুল সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান, আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহফুজা হিলালী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন