নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৭ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ৩ জন ও মহিলা ৪ জন।
রবিবার (২১ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
মহিলাদের মধ্যে ১ জন সদর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হওয়ায় সে তার আগের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার সালাউদ্দিন আল আজাদ বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনী তফসিল মতে আজ (২১ এপ্রিল) রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। নির্বাচন কমিশনের দেয়া নির্দেশ মতে অনলাইনে শেষ দিনের শেষ সময় বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা কথা। আর প্রার্থীরা তাই করেছেন।
এতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- ইয়াহিয়া খান, তোফাইল আহমদ ও মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, তোফাইল আহমদ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। বাকী জন নতুন। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর আহমদ কোম্পানির জ্যেষ্ঠপুত্র। তিনি এবার নতুন এবং প্রথম প্রার্থী হয়েছেন এ পদে।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ)পদে ৩ জন তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন- মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন (সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান), মংহ্লা ওয়াই মার্মা (বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান) ও মুহাম্মদ শাহজাহান করির নতুন।
ভাইস-চেয়ারম্যান মহিলা পদে জমা দেন ৪ জন। তারা হলেন- কাজী রাশেদা বেগম, শামীমা আক্তার (বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান) সানজিদা আক্তার রুনা ও হামিদা চৌধুরী (সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান)।
তিনি আরো জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, আপিল-২৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি-২৭ এপ্রিল, প্রত্যাহার-৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ-২ মে ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে।
এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর নাইক্ষ্যংছড়ির পুরো উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ভোটারদের অনেকে জানান, এবারের নির্বাচন হবে শেয়ানে-শেয়ানে। তবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে মূলত দু’জনের মধ্যে। একজন বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ও অপরজন হলেন সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদের মধ্যে। প্রথমজন আওয়ামী লীগের আর দ্বিতীয় জন স্বতন্ত্র। যিনি এর আগে জামাতের ব্যানারে থাকলেও বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির নেতা সাচিং প্রু জেরির অনুসারী।