নাইক্ষ্যংছড়িতে অটিজম বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ১৬ জানুয়ারি থেকে ৫ দিনের অটিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান শিক্ষকবিহীন ও ভুয়া শিক্ষক নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমেদের বিরুদ্ধে।

রেজু মগ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল বড়ুয়া পার্বত্যনিউজকে জানান, তিনি নিজেই জানেন না অটিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে। তবে তার স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক ঐ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন বলে শুনেছেন। তবে তিনি কিছুই জানেন না।

রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা পার্বত্যনিউজকে বলেন, তাকেও ঐ প্রশিক্ষণে ডাকা হয়নি। কিন্তু তার স্কুলের নাম ব্যবহার করে শফিউল আলম নামে একজন ভুয়া সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। ছৈয়দ হামজা আরও বলেন, বিষয়টি সাথে সাথে জেলা শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহাকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এ পর্যন্ত ওই ভুয়া শিক্ষক প্রশিক্ষণে রয়েছেন।

রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্বত্যনিউজকে আরও জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাদের স্কুলকে একচোখা মনোভাব নিয়ে দেখেন। কারণ বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কথা সরকার ঘোষণা করলেও রেজু গর্জনবুনিয়ায় তার ব্যতিক্রম হয়েছে। অনেক চেষ্টার পর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির আংশিক বই প্রদান করলেও প্রথম শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই এখন পর্যন্ত প্রদান করেননি উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহার নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি আগেই শুনেছেন বলে জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি পার্বত্যনিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘুমধুম ইউনিয়নে অবস্থিত রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে রেজিস্টার্ট বিদ্যালয় থেকে জাতীয়করণের আওতায় আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন ধরনের সরকারের পক্ষ থেকে বেতন ভাতা পাননি। ১৯৯২ সাল থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও এ পর্যন্ত বর্তমান প্রধান শিক্ষকসহ অনান্য শিক্ষকেরা বিনা বেতনে পাঠদান দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে উপজেলার শিক্ষা অফিসার আবু আহমদের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন