‘নানিয়ারচরে বাঙালীদের জমিতে আবারো ঘর তুলছে পাহাড়ীরা: প্রশাসন নির্বিকার’
স্টাফ রিপোর্টার:
নানিয়ারচরে আবারো বাঙালীদের রেকর্ডকৃত জায়গায় পাহাড়ীরা ঘরবাড়ী তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূমি উদ্ধার আন্দোলন পরিষদ নানিয়ারচরের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান। পার্বত্যনিউজকে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেখানে পুলিশ, আর্মি, প্রশাসন সবই আছে তবু সবার চোখের সামনে আমাদের জায়গায় একেরপর এক পাহাড়ীরা ঘর তুলছে কিন্তু প্রশাসন তাদের বাধা দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ৪০টির মতো ঘর নতুন করে তারা বাঙালীদের জায়গায় তুলেছে। কিন্তু আমরা তাদের বাধা দিতে পারছি না প্রশাসনের কারণে। আমরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ উল্টো আমাদের উপর লাঠিচার্জ করছে।
বিষয়টি প্রশাসনকে কেন জানাচ্ছেন না জানতে চাইলে মিজান বলেন, প্রশাসনকে তারা তোয়াক্কা করে না। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সফরকালে পুলিশ, আর্মি, ডিসির উপস্থিতিতে একজন উপজাতি নারী টিএনও’র মতো সিনিয়র কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করলো, জনপ্রতিনিধির গায়ে হাত তুললো কিন্তু কেউ তাকে গ্রেফতার করলো না। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলো না, সাধারণ কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হলো না। এভাবেই তারা প্রশ্রয় পেয়ে পেয়ে এতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নানিয়ারচর ভূমি উদ্ধার পরিষদের এ আহ্বায়ক সোমবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নানিয়ারচর বগাছড়িতে বাঙ্গালীদের মালিকানাধীন জমি দখল করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়ি নির্মাণ ও পুলিশি হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর বুড়িঘাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আনন্দ চাকমা ও মহিলা মেম্বার কাজলী ত্রিপুরার নেত্রীত্তে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালীদের ভূমি দখল করে ঘড়বাড়ি নির্মাণ করতে থাকে। এই সময় ভূমি মালিক মো: আজগর আলী (মৃত) এর ছেলে মো: বাদশা মিয়া, মো: খালেক (মৃত) এর ছেলে আহাম্মদ মিয়াসহ প্রতিবেশিরা বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
এতে আহত হয় মো: বাবু (২২), মো: আমির হোসেন (৩৫), সবুজ মিয়া (২৮), বেলাল হোসেন (২৫), মো: ফারুক (২৩) ও আরো অনেকেই। এই সময় দায়িত্বরত পুলিশ রহস্যজনক ভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত না করে উল্টা নিরীহ বাঙ্গালিদের বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ করে। এতে অনেকে আহত হয়। আমারা নানিয়ারচর ভূমি উদ্ধার আন্দোলন পরিষদের পক্ষথেকে এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সন্ত্রাসী উপজাতীয়দের হাত থেকে বাঙ্গালীদের ভূমি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত ও আহতদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসুচি দিতে বাধ্য হব।