টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে রবিবার (২৬ এপ্রিল) ৭১ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে একজন পজেটিভ পাওয়া গেছে। তিনি টেকনাফের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসক।
অন্য ৭০ জনের সব রিপোর্টই নেগেটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ঢাকার আইইডিসিআর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টেস্টের সমন্বিত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এ নিয়ে কক্সবাজারে ১৫ জন করোনাভাইরাস জীবাণু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলো। এই প্রথম কক্সবাজারে একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলো।
গত ২৫ দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৮০৪ জনের স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। তারমধ্যে ১৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। অন্য ৭৮৯ জনের নমুনা রিপোর্ট পাওয়া গেছে নেগেটিভ।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, এ পর্যন্ত টেকনাফে ৪ জনের শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়। তারা সবাই ঢাকা ও নারায়গঞ্জ ফেরত। আগের ৩ জনকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রামু ৫০ শয্যা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত তিন রোগী টেকনাফ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তিনিসহ হাসপতালের ৯ জন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্স ২৬ জন কর্মচারীসহ ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিটু চন্দ্রশীল আরো বলেন, আমরা সন্দেহমূলক অনেকগুলো নমুনা পাঠিয়ে ছিলাম, তার মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড ১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। এসব নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে করা হয়েছে।
সেই সাথে তার পেছনের ইতিহাসটা এখনো নিশ্চিত নয় যে, তিনি কোত্থেকে সংক্রমিত হয়েছে। ইতোপূর্বে করোনা আক্রান্ত ৩ ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি তার স্বামীও ঢাকা থেকে এসে তার সান্নিধ্যে ছিলেন। তাই এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছেনা বলে জানান তিনি।