‘নির্বাচন নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা’

fec-image

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। সারাদেশে যেভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে উখিয়াতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উখিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, কোন প্রার্থী ভোটের মাঠে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এসময় সকলকে নির্বাচন আচরনবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ, জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইরফান উদ্দিন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম আনোয়ার। উপস্থিত প্রতিদ্বন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, প্রতিদ্বন্ধি ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদমান জামী চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ আলম, প্রতিদ্বন্ধি ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রমুখ।

এসময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রভাব বিস্তার করে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে ব্যালটে সীল মারার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হতে হয়। অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হলে সকল প্রার্থীদের সমান-সুযোগ দিতে হবে। প্রার্থীদের অভিযোগ গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।

উল্লেখ যে, উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ৫ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৪ জন। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থী ৫৪ জন, সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ২৮০ জন এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন