পানছড়িতে গ্রামার ও ব্যাকরণ পাঠ্য নিয়ে দৌরাত্ম্য বেড়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর

images

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি : 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজী গ্রামার    বই পাঠ্য করাতে পুরো উপজেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু পাঠ্য পুস্তক ব্যবসায়ী।

জানা যায়, প্রতি বছর এই সময় তাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে গোপন চুক্তিতে নিম্ন মানের বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজী গ্রামার পাঠ্য করিয়ে স্থানীয় লাইব্রেরী থেকে বই কিনাতে অভিভাবকদের বাধ্য করানো হয় বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়।

তাছাড়া বই পাঠ্য করানোর গোপন চুক্তির টাকা ভাগাভাগি  নিয়ে প্রতি বছরই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। অথচ সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে শ্রেণী ভিত্তিক এসব ব্যাকরণ ও গ্রামার বই বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। যা ছাত্র-ছাত্রীদের যথেষ্ট মানসম্পন্ন ও যুগোপযোগী। এছাড়াও নিম্ন মানের বই পাঠ করার ফলে ২০১৩ সালে  পানছড়ি উপজেলার  জেএসসির ফলাফলে বিপর্যয় ঘটেছিল। যা অভিভাবক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারপরও এই অসাধু ব্যবসায়ীরা বসে নেই তারা যেন শপথ নিয়ে এসেছেন যে, বই পাঠ্য করিয়েই ছাড়বেন।

অনেক অভিভাবক জানালেন, স্কুল থেকে আগে স্থানীয় লাইব্রেরীর নামে টোকেন দেওয়া হতো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে টোকেনের পরিবর্তে এখন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ইশারা ইঙ্গিতে চুক্তিকৃত  লাইব্রেরীর নাম বলে দেওয়া হয়। এবং মাঝে মাঝে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের বই কিনতে বাধ্য করার এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়।

স্কুল ছাত্র রাকিশ ত্রিপুরা, রাজু ত্রিপুরা ও পদ্ম ত্রিপুরা এ প্রতিবেদককে জানান, ব্যাকরণ ও গ্রামার বই কিনতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই মা-বাবাকে হিমশিম খেতে হয়। সরকার বই দেওয়া সত্বেও শিক্ষকদের চাপে পড়ে আমাদের বই কিনতে হয়। 

সচেতন কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, গ্রামার ও ব্যাকরণ প্রতি বছর বছর কেন বদলানো হয় তা বোধগম্য নয়। তবে আমরা যতটকু জানি, যে কোন ব্যাকরণ ও গ্রামার বই হলেই চলে তাই শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক করাটা অতি বেশী বাড়াবাড়ি মনে করেন তারা।

অনেকেরই প্রশ্ন এই ধরণের চুক্তিভিত্তিক বই পাঠ্য করা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে ? এ ব্যাপারে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন অভিভাবক মহল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন