পানছড়ির গর্ব নারী জয়িতা প্রতিবন্ধী রোজী
উপজেলা প্রতিনিধি, পানছড়ি :
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিল এক শারিরীক প্রতিবন্ধী। পানছড়ি উপজেলার ১ নং লোগাং ইউপির ফাতেমা নগর গ্রামের ফজল আহাম্মদ ও নূর আয়শা বেগমের মেয়ে রোজী আক্তার জন্ম লগ্ন থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। কিন্তু অধ্যবসায়, মানসিক শক্তি ও মনবলের দিক দিয়ে অন্য দশজনের চেয়ে সে বহুদুর এগিয়ে।
বর্তমানে উপজেলার দমদম গ্রামের দুলাল মিয়ার সহধর্মিনী এই রোজী এলাকার প্রায় তিন শতাধিক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে করেছেন স্বাবলম্বী। আজও থেমে নেই তার সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বিনা পয়সায় সেলাই শিখিয়ে এলাকার অবহেলিত নারীদের দিন দিন নিয়ে চলেছেন সামনের কাতারে। তাই জনমতও রোজীর এই স্বেচ্ছা শ্রমের মূল্যায়ন করে।
২০১১ সালে ৩নং সদর পানছড়ি ইউপির সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় মহিলা সদস্যা। শারিরীক প্রতিবন্ধী রোজী পরিবার, দেশ ও দশের বোঝা না হয়ে বর্তমানে জন সেবক। তাই শুধু নিজ উপজেলায় নয় এবার রোজীকে মূল্যায়ন করা হয়েছে বিভাগীয় পর্যায়ে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় “জয়িতার অন্বেষণে বাংলাদেশ” কর্মসূচিতে জয়িতা নারী (এ দেশের সংগ্রামী নারীদের প্রতীকী নাম) হিসাবে পুরষ্কৃত হয়েছেন। জানা যায়, পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বমোট পাঁচ নারী জয়িতা নির্বাচত করা হয়। তাদের একজন প্রত্যন্ত সীমান্ত ঘেঁষা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার রোজী আক্তার। ১১ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমীতে তাদের পুরষ্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল্লাহ রোজী আক্তারের হাতে নগদ দশ হাজার টাকা, ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন।
পানছড়িস্থ দমদম গ্রামে নিজ বাড়ীতে এই নারী জয়িতাকে নতুনভাবে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক এলাকাবাসীর ভীড় জমে উঠার চিত্র সরেজমিনে দেখা যায়। রোজী এই প্রতিবেদকে দেখে মিষ্টি হেঁসে বলেন, এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা সব সময় পেয়েছি। যার ফলে আমার এ পুরষ্কার পাওয়া সহজতর হয়েছে। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা নিয়েই আরো বহুদুর এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রোজী মেম্বার।