পার্বত্যবাসীকে বিভ্রান্ত করা সন্তু লারমাও ভোটার হলেন: এমপি দীপংকর

fec-image

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্যবাসীকে দীর্ঘবছর বিভ্রান্ত করা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা অবশেষে ভোটার তালিকায় নিজের নাম লেখালেন।

মঙ্গলবার (২৮সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি জেলার আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, সন্তু লারমা বলতেন পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদেরকে নিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত তিনি ভোটার হবে না। পার্বত্যাঞ্চলের একদল মৌলবাদ বাঙালী সংগঠনগুলো শান্তিচুক্তি বিরোধীতা করেছিলো। তারা বলতে লাগলো শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ে বাঙালী জনগোষ্ঠি থাকতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই ধারণা ভুল। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবি করছে। শান্তিচুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো চুক্তি করতে গিয়ে তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিলেও শান্তিচুক্তি করার সময় আমরা তৃতীয় কোন পক্ষের সহায়তা নেয়নি। যার ফলে তৎকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিলো।

এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ১৯৯৬ সালে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা রাজস্থলী উপজেলায় সফরে এসে বাঙ্গালহালিয়া কলেজকে সরকারিকরণ করার ঘোষণা করেন। বর্তমানে বাঙ্গালহালিয়া কলেজ ও রাজস্থলী কলেজ দু’টি সরকারিকরণ করা হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা।

দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ কোন নেতার সংগঠন নয়, এটি কর্মীদের সংগঠন। বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না এটা ভেবে বসে থাকবেন না। আপনারা সজাগ হোন, তৃণমূল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করুন।

জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজার সভাপতিত্বে এসময় মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, হাজী কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, প্রচার সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদারসহ দলটির সিনিয়র অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বক্তৃতা করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশ ও জনগণের কল্যাণে দোয়া, মিলাদ এবং জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন