পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা হয়েছে : রাঙামাটিতে বৃষ কেতু

mama

স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে কোনরকম অনিয়ম সহ্য করা হবে না । তাছাড়া শিক্ষকদের মাঝে যদি কেউ দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রমাণিত হয়, তাহলে সরকারী বিধিমোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ৪র্থ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা ২০১৪এর বৃত্তি প্রাপ্তদের সনদ ও বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমার সঞ্চালনায় ও রাঙামাটি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মোঃ সালেহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, কাউখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিনয় চাকমা, বরকল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রমূখ।

বৃষকেতু চাকমা আরো বলেন, শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তাই শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে মেধাবী শিক্ষার্থী যাতে গড়ে ওঠে সেজন্য সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নকল করা যাতে একেবারে বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য কঠোরভাবে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার ৬৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২৭জন শিক্ষার্থীকে ৩লাখ ৮৮হাজার টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ মধ্যে অনন্য মেধায় ২০জনকে ২হাজার টাকা করে, ট্যালেন্টপুলে ৮২জনকে ১হাজার ৫শত টাকা করে এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত ২২৫জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১হাজার টাকা করে বৃত্তি, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাঝে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ১০৪জন, কাউখালী উপজেলায় ২৫জন, নানিয়ারচর উপজেলায় ২৭জন, বরকল উপজেলায় ১৯জন, জুরাছড়ি উপজেলায় ১৬জন, লংগদু উপজেলায় ২৪জন, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৪৮জন, কাপ্তাই উপজেলায় ৩৫জন, রাজস্থলী উপজেলায় ১৬জন, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১৩জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য এ শিক্ষাবৃত্তির চালু করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন