পার্বত্য চট্টগ্রামে নানারকম অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

fec-image

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০ বছর ধরে যেখানে সংঘাত ছিল। সেখানে আমি ক্ষমতায় আসার পর শান্তি ফিরিয়ে আনি। সেখানেও আবার নানারকম অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা। যেহেতু আমি জানি, আমি বুঝি তাই কিভাবে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে এবং তাদের কিছু কেনা গোলাম আছে, পদলেহনকারী আছে, তাদের বসিয়ে এই জায়গাটা নিয়ে খেলবে। এটাই হচ্ছে প্রচেষ্টা। এটাই আমি ভালোভাবে বুঝতে পারি। তাই আমি দেশবাসীকে বলবো যারা দেশপ্রেমিক তাদের সবাইকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে।

গণতন্ত্রের নাম করে ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করাই কারও কারও উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সেই উদ্দেশ্যে তারা কাজ করছে। কারণ ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের এ অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের বঙ্গোপসাগরটাও এরই অংশ। ভারত মহাসাগরে যতগুলো দেশ আছে এখানে কারও সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব নাই। স্বাধীনভাবে পণ্য চলাচল করে এখানে। তাই অনেকে এটিকে ব্যবহার করতে চায়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সূচনা বক্তব্য দেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু আতেল আছে। তারা এসব চিন্তা করে কি না জানি না। কিছু উপলব্ধি না করেই দু’টো পয়সার আশায় এদের সঙ্গে সুর মিলায়। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। একই সঙ্গে ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দেশকেও সচেতন থাকতে হবে। আমি মনে করি তারা সচেতন। এ এলাকা নিয়ে নানা ধরনের চক্রান্ত চলছে।

তিনি বলেন, আমি তাদের বলতে চাই- আপনাদের গণতন্ত্র কি আটলান্টিকে আটকে যায়? আটলান্টিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ? যে বিএনপি আমার বাবাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে আজ তাদের নিয়ে ক্ষমতায় বসাতে হবে? এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না, গণতন্ত্র না। এরা একটা জিনিসই করতে চায় তা হচ্ছে-আমরা যে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করেছি, আর্থ-সামাজিক উন্নতি করেছি, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি, মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছি সেই উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখি না। ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির কথা আসছিল, আমি বলেছিলাম- দেশের স্বার্থ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে, এত ক্ষমতালোভী আমি না। আমার বাবাও এমন ছিলেন না। তিনি বলেন, আজকে দেশের উন্নয়ন যখন করে যাচ্ছি, তখন সবার মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো খেলা খেলে বাংলাদেশের ভাগ্য নষ্ট করা যাবে না। দোয়া করবেন যেন জাতির পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারি।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অশান্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, প্রচেষ্টা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন