পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বাঙালিকে হত্যা: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্বেগ

fec-image

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে এক বাঙালিকে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হত্যায় প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

শুক্রবার (১০ জুন) সকালে উপজেলার মেরুং হাদাছড়া সড়কে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ উপজাতি সন্ত্রাসীদের দায়ী করে, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন, এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সন্ত্রাসী কর্তৃক এক বাঙালিকে হত্যা করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের পক্ষ হতে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গিয়েছে, একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উপজাতি সন্ত্রাসীরাই করেই যাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা যুগ্ম-সম্পাদক জাহিদ হাসান বলেন, চলমান পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একের পর এক খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আমরা উদ্বিগ্ন। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য থামাতে প্রশাসনকে এখনি কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। পাহাড়ের সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান জোরালোভাবে পরিচালনা করতে হবে। দীঘিনালা মেরুং হাদাছড়ায় জাহাঙ্গীর আলম পিতা সফিউল্লার হত্যাকারীদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় হরতাল, অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচি দেয়ারও হুশিয়ারি দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের দীঘিনালা উপজেলার নেতা মুনসুর আলম হিরা বলেন, পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা উদ্বেগ জনক। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। এ অবস্থার উন্নতি করতে হলে সামরিক বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

নাগরিক পরিষদের দীঘিনালা উপজেলার নেতা মো আল আমিন হাওলাদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সীমাহীন চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আজ অতিষ্ঠ।

উপজাতি সন্ত্রাসীরা অবৈধ চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অশান্ত করে তুলছে।যৌথবাহিনির চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ বিবৃতিতে ও উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন