পাহাড়ে অনিয়ন্ত্রিত ইট ভাটা নির্মাণ: হুমকির মুখে রাঙামাটির গুমাই বিলের কৃষিজমি

Etbhata pic01

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি:
অনিয়ন্ত্রিত ইট ভাটা নির্মানের কারণে হুমকির মুখে পরেছে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা গুমাই বিলের কৃষিজমি। কৃর্তিপক্ষের নজরদারী না থাকায় বনাঞ্চল ধ্বংস করে যত্রতত্রভাবে গড়ে তুলা হচ্ছে নতুন নতুন ইট ভাটা। এতে করে যেমন পাহাড়ের বনাঞ্চল সংকচিত হচ্ছে তেমনি বিলিন হচ্ছে কৃষকের ফসলি জমি। আর এসব ইট ভাটায় সুযোগে পুরানো হচ্ছে বনে গাছপাল।

অভিযোগ উঠেছে, পরিবেশ ও বন আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাশীল (আওয়ামীলীগ) দলের নামধারী কথিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। জানা গেছে, রাঙমাটির জেলার কাপ্তাই উপজেলয় চন্দ্রঘোনা এলাকার গুমাই বিলে ৯টি ইটভাটা থাকার পরেও নির্মান করা হচ্ছে আরো ২টি ইট ভাটা। এসব ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে কৃষকের ফসলি জমি। কাটা হচ্ছে পাহাড় ও বন জঙ্গল। এসব ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে পরেছে চন্দ্রঘোনা শেখ রাসেল এ্যাভিয়ারী এন্ড ইকোপার্কও । জমির মালিক ও কৃষকরা এসব ইট ভাটা নির্মানে বাধা দিলে হুমকি দেয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের। ইট ব্যবসায়ীদের ক্ষমতার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে কৃষক ও জমির মালিক। কৃর্তিপক্ষের উদাশীনতার কারনে দিন দিন সক্রিয় হয়ে উঠছে এসব সেন্ডিকেট গ্র“প। প্রাণ নাশের ভয়ে এসব সেন্ডিকেট গ্রুপের সামনে মুখ খোলার যেন কোন মানুষ নাই।

স্থানীয় বন বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চল উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলা ভূমি, একাধিক ফসল উৎপন্ন হয় এরূপ কৃষি জমি, প্ররিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, বিশেষ কোন স্থাপনা, মসজিদ-মন্দির, উপসানালয়, গ্রামিণ সড়ক পাহাড়-টিলার পাদদেশ হতে অর্ধ কি:মি: দূরত্বের মধ্যে, স্থানীয় জনগণ স্বার্থ বিরোধী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অথবা পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমতি ব্যতীত সরকারি বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কি:মি: দূরত্বের মধ্যে ইট ভাটা স্থাপনা পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু কিছু অসাধু সিন্ডিকেট গ্রুপ সন্ত্রাসী ক্ষমতাবলে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোন গুমাই বিলে অপরিকল্পতভাবে ইটভাট নির্মান করছে। আর এসব ইট ভাটার নির্মানে মানা হচ্ছে না পরিবেশ ও বনের কোন আইন। অসহায় জমির মালিকদের বিভিন্ন হুমকি দমকি দেখিয়ে অব্যাহত রেখেছে নতুন নতুন ইট ভাটা নির্মান কাজ। তাদের এসব অপকর্মকান্ডকে বাধা দিয়েও কোন সুরাহা মিলেছে না। উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে জমির মালিকরা।

এব্যাপারে জমির মালিক ও স্থানীয় জসিম, ইউনুছ, বদি আলম, মুহিব্বুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, নিশ্চিন্তাপুর গুমাই বিল সংলগ্ন এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ীর মসজিদের জায়গা জমি গুলোতেও ইট ভাটা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাশীল দল (আওয়ামীলীগ) নামধারী সিসেন্ডিকেট গ্রুপ। চন্দ্রঘোনা গুমাইবিল ও রাঙ্গুনিয়াসহ পার্শ্ববর্তী আরও বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন