পাহাড় ধসের আশঙ্কা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ভারী বর্ষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পাহাড় ধস এবং ৫ শতাধিক ঝুঁপড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ঝুঁপড়ি ঘরে ঢলের পানি ঢুকে ভেঙ্গে গেছে।

এ সময় দূর্ভোগে থাকা শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে গত কয়েক দিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে ক্যাম্প গুলোতে বসবাস করা রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের পানিবন্দী হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা রোহিঙ্গারা পাহাড় ধস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যে কোন সময় পাহাড় ধসে প্রাণ হানির আশংকা প্রকাশ করেছেন বালুখালী ক্যাম্প ৮ এ বসবাসরত নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা।

সরেজমিনে, উপজেলার বালুখালী ক্যাম্প,পশ্চিমরত্না, রুমঁখা চৌধুরীপাড়া, পাইন্যাশিয়া, রেজুরকুল, উখিয়া সদরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

দূর্ভোগে থাকা রোহিঙ্গারা বলেছেন, প্রবল বর্ষনের কারণে ঝুঁপড়িতে পানি ঢুকে গেছে। রাতে ঘুমাতেও পারব না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোথায় মাথা গুজাবো বুঝতে পারছি না।

জানতে চাইলে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মো. নুর বলেন, গত কয়দিনের টানা বর্ষণের কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেক ঝুঁপড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

আরেক রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, কিছু কিছু রোহিঙ্গা পরিবার এনজিও পরিচালনাধীন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি আবু তাহের বলেন, প্রায় ১০টি ঝুঁপড়িঘর ভেঙ্গে গেছে। যারা নিচু জায়গায় বসবাস করে আসছে তাদের ঘরে পানি ঢুকে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে।

ইউএনএইচসিআর প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সাড়ে ৪ হাজারের অধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১২০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দার ২টি ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়েছি। যেহেতু এখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে তাই সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের কথাও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আশঙ্কা, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পাহাড় ধসের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন