কক্সবাজারে মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি

পিতার পরিচয়ে আ.লীগের রাজনীতি করার সময় শেষ

fec-image

*শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের দলে ফেরার দরজা বন্ধ *বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা *পৃথিবীর কোন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারবে না

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, পিতার পরিচয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করার সময় শেষ। পিতা ত্যাগী এবং দলের পরীক্ষিত নেতা হতে পারেন। তাই বলে তার সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনার কাছে পিতা যেমন পরীক্ষিত নেতা ছিলেন তার সন্তানরাও যেন পরীক্ষিত হন এটা মূল্যায়ন করেন।

বিএনপি ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় নেতা শ্রবণের পিতা যশোর কেশবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, পিতা আওয়ামী লীগের নেতা বলে ছেলে যে একই আদর্শের সৈনিক হতে তা কিন্তু না। নির্বাচন আসলেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হবেন আর পিতার পরিচয় দিয়ে বেড়াবেন এটা আর হবে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের পছন্দ করতে না, উগ্রতাকে পছন্দ করতে না। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পড়ে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরার দিন শেষ। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তারা আর দলে আসতে পারবেন না।

সোমবার (৫ জুন) বিকালে কক্সবাজার কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহিদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তি উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু শুধু মাত্র বাংলার বন্ধু না; তিনি বিশ্ব বন্ধু। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তির পর তিনি বিশ্ব বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হন।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আগামি সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর মন্তব্য করে হানিফ বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা একটি ভিসানীতির কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যারা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তাদের ভিসা দেয়া হবে না। আমরা এই কথাকে স্বাগত জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যারা প্রতিবন্ধকতা করবেন তারাই এটা নিয়ে সমস্যায় পড়বেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যুগে যুগে আওয়ামী লীগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ষড়যন্ত্র হয়েছে। খুন, গুম, নির্যাতন নিপীড়ন করে আওয়ামী লীগকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও এই ষড়যন্ত্র ছিল আছে এবং থাকবে। এরপরও বিজয় আমাদের হবে।

মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আগেও ছিল এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু পৃথিবীর কোন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে পারবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ে হবে। যারা নির্বাচন করার সামর্থ রাখেন তারা অংশগ্রহণ করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের তা সহ্য হচ্ছেনা। তারা বিদেশিদের কাছে বারবার অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা বারবার বলে আসছেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বিদেশি বন্ধুদের চাওয়া আর আমাদের চিন্তার সাথে তো কোন গরমিল নেই। তারপরেও বিএনপি-জামায়াত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য নানা অজুহাত খোঁজে আসছে।

হানিফ বলেন, দলের যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করবে তারা দলে থাকতে পারবে না। নির্বাচন আসলেই কিছু নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। পরে তারা আবার দলে যোগদান করে। এবার কিন্তু তা আর হবেনা। সেই সুযোগ তাদের দেয়া হবেনা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজা ফাতেমা আহমেদ এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফোরকান আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত ভুষন বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগে সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার, রাজনীতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন