পেকুয়ায় আগুনে বিধবার বসতঘর পুড়ে ছাই

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগুনে এক বিধবা নারীর বসতঘর পুড়ে ছাই, ছাগলসহ আগুনে দগ্ধ হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪ টার দিকে সদর ইউনিয়নের পশ্চিম গোঁয়াখালী দিয়াপাড়ার মৃত গিয়াস উদ্দিন মানিকের বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪টি ছাগল ছাগল দগ্ধ হয়েছে।

খবর পেয়ে পেকুয়ার ফায়ার সার্ভিসকর্মী অগ্নিকাণ্ড স্থানে পৌঁছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার পূর্বেই বিধবার বাঁশের বেড়া ও খড়ের ছাউনি বসতবাড়িটি আগুনের লেলিহান শিখায় সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত নিয়ে রহস্যের জটলা তৈরি হয়েছে। বিধবার বাড়িতে এ আগুনকে স্থানীয়রা নাশকতা ও তাণ্ডব বলে দেখছেন অনেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মাস আগে ফসলি জমিতে লবণ মাঠ তৈরি নিয়ে সদরের পশ্চিম অংশের দিয়াপাড়া ও জালিয়াখালীর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক মারধরের ঘটনা হয়েছে। এ সময় দিয়াপাড়ার অন্তত ৮/১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় পেকুয়া থানায় জিআর ২০/২৪ মামলা রুজু আছে। বুধবার পেকুয়া থানা পুলিশ ওই মামলাসহ একটি মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন মামলার সাক্ষী মৃত গিয়াস উদ্দিন মানিকের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (জলসা) চকরিয়ায় যান। গ্রেপ্তার হওয়া মহিউদ্দিনকে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে। আদালত প্রাঙ্গণে মামলার সাক্ষী মর্জিনাকে আটক মহিউদ্দিনের স্বজনরা সেখানে দেখতে পায়। এ নিয়ে কোর্টের সামনে ওই নারীকে বকাঝকা করা হয়।

ভুক্তভোগী মৃত মহিউদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার জানান, কোর্টে আমার দেখার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়েছে। এরপর রাতেই আমার বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার স্বামী ৭ বছর আগে মারা যান। ছোট ছোট ৩ ছেলে মেয়েসহ আমি রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। বিছানায় আগুনের ঝিলকা যখন পড়ছিল তখনই ঘুম থেকে জেগে উঠি। আমার ৪টি ছাগল পুড়ে গেছে। মালামাল ও বসতবাড়ি ছাই হয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পেকুয়ার সভাপতি হুমায়ুন কবির বিএ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি মানবাধিকারের পক্ষ থেকে বলবো এখানে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টির ক্লু উদঘাটনের জন্য বলবো প্রশাসনকে।

এ বিষয়ে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ শফিউল আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। বাড়িটির মালিক একজন অসহায় মহিলা।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো: ইলিয়াছ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আগুন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন