বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে হামলা, অন্তঃসত্ত্বা বোন আহত
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মা ও বোনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটে ফোরকান। এ সময় আহত হয়েছেন, প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী জিবন আরা (৫৫), মো. সেকান্দরের স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মরিয়ম বেগম (২২)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বুধবার (১১ মে) সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মিঠাবেপারী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধায় ফোরকান নামের এক বখাটি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে গিয়ে তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে রেহেনা জন্নাত প্রকাশ তারা মনিকে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মা জিবন আরাকে জানায়। বখাটে ওই ছেলের বাড়ি একই এলাকার হওয়ায় ছাত্রীর মা জিবন আরা ছেলের মাকে অবগত করে। এর জের ধরে অভিযুক্তসহ তার মা ও আরকান ক্ষিপ্ত হয়ে মনির মা জিবন আরা (৫৫) কে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় জিবন আরাকে তার ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে মরিয়ম বেগম মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।
আহতের মেয়ে আফরোজা খানম সুইটি জানান, বেশ কয়দিন ধরে আমার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট বোন রেহেনা জন্নাত প্রকাশ তারা মনি (১৩) কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করে আসছে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফোরকান এ ঘটনা ঘটায়।
ইভটিজিংয়ের স্বীকার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তারা মনি বলেন, গত তিন ধরে ফোরকান আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। দুইদিন আগে ফোরকান আমাদের বাড়ির পাশের টিউবওয়েল এসে তার মোবাইল নাম্বার দেয়। নাম্বরটি না নিতে চাইলে নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। ওই স্থান ত্যাগকরে বাড়িতে চলে আসি। ঘটনার দিন সে পুনরায় বাড়ির পাশে এসে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে ঘর থেকে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার মা ও বোন ওই বখাটে ফোরকানের পরিবারের হামলার শিকার হন।
ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান, ফোরকানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সে কিশোর গ্যাং লিডার। খারাপ প্রকৃতির লোক।
রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফোরকানকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পেকুয়া থানা পুলিশের এস আই আবদুল হক ও শাহ আলমের নেতৃত্বে ফোরকান (২২)কে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ছোরা ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। আটক ফোরকান কিশোর গ্যাং লিডার। তার সঙ্গে থাকা কিশোর গ্যাং এর মেহেদী হাসান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড কাইছার পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।